স্বর্ণ চোরাকারবারির সঙ্গে আঁতাত, তিন পুলিশসহ গ্রেফতার ৪

  • খুলনা ব্যুরো | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৩, ২০২৪, ০৭:৩৬ পিএম
স্বর্ণ চোরাকারবারির সঙ্গে আঁতাত, তিন পুলিশসহ গ্রেফতার ৪

ছবি প্রতীকী

খুলনা: স্বর্ণ চোরাকারবারির সঙ্গে আঁতাত করে স্বর্ণের বার আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় খুলনার লবণচরা থানার তিন পুলিশ সদস্যসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) রাতে নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার তিন পুলিশ সদস্যকে বাহিষ্কারও করা হয়েছে।

এর আগে লবণচরা থানার পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মোকলেসুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। রাতেই গ্রেফতার ব্যক্তিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন: স্বর্ণ চোরাচালানকারী ব্যাসদেব দে, লবণচারা থানার এসআই মো. মোস্তফা জামান, উপপরিদর্শক মো. আহসান হাবিব ও কনস্টেবল মুরাদ হোসেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে স্বর্ণের ছয়টি বার নিয়ে টুঙ্গীপাড়া এক্সপ্রেসে করে ভারতে পাচারের জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন ব্যাসদেব দে। গোপন সংবাদে বিষয়টি জানতে পেরে বাসটি থামিয়ে তল্লাশি চালায় লবণচারা পুলিশের একটি টিম। এ সময় উপপুলিশ পরিদর্শক মো. আহসান হাবিব ও কনস্টেবল মুরাদ হোসেন অভিযুক্ত ব্যাসদেবের শরীর তল্লাশি করে ছয়টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করে। ব্যাসদেব স্বীকার করে স্বর্ণেরবারগুলো ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে সে নিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় অস্ত্রের মুখে তিনটি স্বর্ণেরবার ছিনিয়ে নেয় ওই পুলিশ টিম, বাকি তিনটি ব্যাসদেবকে ফিরিয়ে দেয়। তবে ঘটনাটি থানা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেনি দায়িত্বরত পুলিশের এ টিম।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ তথ্য জানতে পেরে লবণচারা থানা পুলিশের একটি টিম শুক্রবার রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পুলিশের ওই তিন সদস্যসহ স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িত ব্যাসদেব দেকে গ্রেফতার করে। রাতেই লবণচারা থানার পুলিশ পরিদর্শক মোকলেসুর রহমান বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে মামলা করেন।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার তাজুল ইসলাম বলেন, ‘স্বর্ণ চোরাকারবারির কাছ থেকে বারগুলো জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয় দায়িত্বরত তিন পুলিশ সদস্য। ওই তিন পুলিশসহ চোরকারবাকিকে গ্রেফতার করেছি। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের পাশাপাশি নিয়মিত মামলাও হয়েছে। গ্রেফতার করার পাশাপাশি ওই তিন পুলিশ সদস্যকে বহিষ্কারও করা হয়েছে।

ওয়াইএ

Link copied!