বরগুনা: আমতলীতে শালীকে নিয়ে উধাও দুলাভাই রনি খাঁন। এদিকে বোনকে সুখী দেখতে স্বামীকে তালাক দিলেন স্ত্রী ফাহিমা আক্তার।
এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্ত্রী ফাহিমার এমন সাহসী কাজের প্রশংসা করছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে ঘটনাটি ঘটে আমতলীর হলদিয়া ইউনিয়নের পুর্ব চিলা গ্রামে।
জানা গেছে, ২০২০ সালে আমতলী উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া গ্রামের রফেজ খানের ছেলে ভাড়ায় মোটর সাইকেল চালক রনি খানের সঙ্গে পূর্ব চিলা গ্রামের ইউসুফ প্যাদার মেয়ে ফাহিমার বিয়ে হয়।
ওই দম্পতির তিন বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। ২০২৩ সালে অর্থ সংঙ্কটে পরে ফাহিমা কাতার যান। ওই সুবাধে তার স্বামী রনি খান ছোট শালিকার সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে পরেন। গত বছর জুলাই ফাহিমা বাড়িতে আসেন।
প্রতিবেশিদের মুখে স্বামী রনি খানের সঙ্গে ছোট বোনের প্রেমের সম্পর্কের কথা জেনেও স্ত্রী ফাহিমা আমলে নেয়নি। তবে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গোপনে গভীরভাবে চলতে থাকে।
গত রোববার (২০ এপ্রিল) রাতে দুলাভাই রনি খান শালিকাকে নিয়ে পালিয়ে যায়। স্বামীর এমন কর্মকান্ডে ক্ষুব্দ হয়ে স্ত্রী ফাহিমা আক্তার আজ মঙ্গলবার তাকে তালাক দেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন এলাকাবাসী বলেন, স্বামীর অনৈতিক কর্মকান্ডের প্রতিবাদে স্ত্রী ফাহিমা স্বামী রনি খানকে তালাক দেয়। এমন ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ফাহিমার এমন সাহসী কাজের প্রশংসায় ভাসছে এলাকার সকলের নিকট।
স্বামীকে তালাক দেয়া নিয়ে ফাহিমা আক্তার বলেন, স্বামী তার ছোট বোনকে নিয়ে যখন সুখী হতে চেয়েছে তাই বোনের সুখের জন্য তালাক দিয়ে দিলাম। এখন আমি আমার সন্তানকে নিয়ে জীবন বাকি জীবন কাটিয়ে দেব।
আমতলী পৌরসভার বিবাহ রেজিষ্ট্রার মো. মিজানুর রহমান বলেন, ছোট বোনকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় স্বামী রনি খানকে স্ত্রী ফাহিমা আক্তার তালাক দিয়েছেন। আমার অফিসেই তালাক সম্পন্ন করেছেন তিনি।
এআর
আপনার মতামত লিখুন :