শরীয়তপুর: শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিনের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার।
গতকাল রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি আহ্বায়ক হলেন- ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, সদস্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (শৃঙ্খলা-২ অধিশাখা) ডা. মো. নূরুল হক এবং সদস্য সচিব হবেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপযুক্ত একজন প্রতিনিধি (যুগ্ম সচিব পদমার্ষদার নিম্নে নহে)।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে,শরীয়তপুরের প্রাক্তন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন শৃঙ্খলা পরিপন্থী আচরণের সত্যতা যাচাইয়ের নিমিত্ত এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো। কমিটি বর্ণিত বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক সুস্পষ্ট মতামতসহ প্রতিবেদন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে দাখিল করবেন।
এর আগে গত শনিবার শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিনকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করেছে সরকার।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে তার সঙ্গে এক নারীকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা যায়। আর এই ঘটনার পর প্রশাসনে বইছে সমালোচনার ঝড়। এই ঘটনা জানার পর পরই নিজের ব্যবহার করা সরকারী গাড়ী এবং সরকারী মোবাইল ফোন রেখে কর্মক্ষেত্র শরীয়তপুর থেকে পালিয়ে যান তিনি।
আওয়ামী আস্থাভাজন মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন ২৭ তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করেন। চাকুরী জীবনে ২০১১ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মত গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে দীর্ঘ ৯ বছর কাজ করেছেন। এর মাঝ খানে আওয়ামীলীগের মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় ২০১৫ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ২ বছর ৩ মাস গাজীপুরের সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছেন।
গত আগষ্টের পট পরিবর্তনের পর ২২ সেপ্টেম্বর শাস্তিমূলক বদলী হিসেবে তাকে নিউরো ডেভলপমেন্ট প্রতিবন্ধী ট্রাস্ট এর পরিচালক হিসেবে বদলী করে অর্ন্তবর্তী সরকার।
এরপর ঢাকার মিরপুরের একজন বিএনপি নেতাকে ম্যানেজ করে শাস্তিমূলক বদলীর মাত্র ১ মাস ১২ দিন পর একই বছরের ৩ নভেম্বর শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক পদ বাগিয়ে নেন।
এআর
আপনার মতামত লিখুন :