ছবি: প্রতিনিধি
বরগুনা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এনসিপি সমন্বয় সভার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রেস ব্রিফিংয়ে এনসিপি দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, জামায়াত ইসলামী কি কোনো ইসলামী দল, তা তিনি সঠিকভাবে জানেন না। তবে তিনি মনে করেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে ইসলামী বা অ-ইসলামী বলে ভাগ করার পক্ষে নয়।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দেশে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কোনো দূরত্ব তৈরি হয়নি। প্রত্যেক দল তাদের নিজস্ব অবস্থান নিয়েছে। কিছু দল সংস্কারের পক্ষে রয়েছে, কিছু দল বিপক্ষে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যত দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছে। সংস্কারের পক্ষে যারা আছে, তারা সংস্কারের কাছাকাছি অবস্থান নিয়েছে, এবং যারা বিপক্ষে রয়েছে, তারা সংস্কারের বাইরে চলে গেছে।
১ নভেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় বরগুনায় এনসিপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সমন্বয় সভায় হাসনাত আবদুল্লাহ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এবং বিভাগীয় যুগ্ম সচিব ফয়সাল মাহমুদ শান্ত।
হাসনাত আবদুল্লাহ জুলাই সনদ নিয়ে বলেন, তারা বারবার সনদ দেখার পর স্বাক্ষর করতে চেয়েছিলেন। তবে বিএনপি সনদ না দেখে স্বাক্ষর করায় এনসিপি স্বাক্ষর করেনি। তিনি জানান, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য গণভোট অথবা গণপরিষদ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, আদেশ জারি ছাড়া প্রজ্ঞাপন কার্যকর হবে না এবং প্রয়োজন অনুযায়ী অধ্যাদেশ জারি করতে পারবেন ড. মুহাম্মদ ইউনুস।
এছাড়া তিনি নির্বাচন কমিশনের শাপলা প্রতীক নিয়ে বলেন, নির্বাচন কমিশনের কোনো নীতিমালা নেই। তারা ব্যক্তিগতভাবে স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত নিতে দেখেছেন। এনসিপি চায়, শাপলা প্রতীকের বিপরীতে শাপলা কলি প্রতীক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার নীতিমালা স্পষ্ট করা হোক।
এসএইচ
আপনার মতামত লিখুন :