ছবি: প্রতিনিধি
পাবনার ঈশ্বরদীর বাজারে হঠাৎ লাগামছাড়া হয়েছে পেঁয়াজের দাম। ঈশ্বরদী শহর ও আশেপাশের গ্রামাঞ্চলে পাঁচ দিনের ব্যবধানে কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়ে, বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়।
বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, পাঁচ দিন আগে মানভেদে প্রতিকেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়। কিন্তু বর্তমানে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজের কেজি দাম ১১০ থেকে ১২০ টাকা, আর অপেক্ষাকৃত কম মানের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১০০ টাকায়। পাড়া-মহল্লার দোকানে এই কম মানের পেঁয়াজও ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কৃষক, ব্যবসায়ী ও কৃষি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে দেশে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় স্থানীয় উৎপাদন থেকে চাহিদা মেটানো হচ্ছে। মৌসুমের শেষে মজুদ কমে আসায় দাম বাড়ছে। পাইকারি পর্যায়ে দাম গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ৭২ থেকে ৮০ টাকা ছিল, যা এখন বেড়ে গেছে।
ঈশ্বরদীর কাঁচামালের ব্যবসায়ীরা বলছেন, দেশের পেঁয়াজ উৎপাদনকারী জেলাগুলোতে দাম বাড়ায় বাজারে প্রভাব পড়েছে। আগামী ডিসেম্বরের শেষার্ধে অথবা জানুয়ারির শুরুতে মুড়িকাটা পেঁয়াজের উত্তোলন শুরু হলেও সামনের দুই মাস পেঁয়াজের বাজার চড়া থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
কৃষক ও ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, অতিবৃষ্টির কারণে পেঁয়াজের চারা কিছুটা নষ্ট হয়েছে এবং নতুন পেঁয়াজ রোপণ হতে কিছুটা সময় লাগবে। এতে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া দীর্ঘদিন মাচায় মজুদ রাখায় পেঁয়াজের ওজন কমে যাওয়ায় মুনাফা বজায় রাখতে দাম বাড়ানো হচ্ছে।
দেশে দুই ধাপে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। রবি মৌসুমে মুড়িকাটা পেঁয়াজ রোপণ করা হয় যা দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায় না। উৎপাদন মৌসুমেই এই পেঁয়াজ বিক্রি হয়। দীর্ঘদিন আমদানির ওপর নির্ভরতা না থাকায় বাজার দেশীয় উৎপাদনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে আছে। মৌসুম শেষ হওয়ার কারণে দাম বাড়লেও বাংলাদেশ পেঁয়াজে স্বয়ংসম্পূর্ণতার দিকে এগোচ্ছে বলে আশা প্রকাশ করেছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
এসএইচ
আপনার মতামত লিখুন :