কিস্তি দিতে না পারায় নিয়ে যাওয়া বদনা, নাকফুল ও আংটি ফেরত দিলো সেই এনজিও

  • জেলা প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২৫, ১১:৩৯ এএম
কিস্তি দিতে না পারায় নিয়ে যাওয়া বদনা, নাকফুল ও আংটি ফেরত দিলো সেই এনজিও

বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় গৃহবধূ শ্রাবণী হীরা তার বদনা, নাকফুল ও আংটি ফেরত পেয়েছেন ডাম ফাউন্ডেশন ফর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট (ডিএফইডি) কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে। ঘটনায় চিতলমারী শাখার ম্যানেজার বাসুদেব দেবনাথ ও মাঠকর্মী নেওয়াজ শরীফকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

শ্রাবণী হীরা জানান, বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর ডাম এনজিওর কর্মকর্তারা সকাল ১০টার দিকে তার বাড়িতে এসে পরিবারের সঙ্গে খোঁজখবর নেন। পরে তাকে অফিসে নিয়ে শখের দুটি বদনা, নাকফুল ও আংটি ফেরত দেওয়া হয়। তিনি বলেন, “সার্বিক সহযোগিতায় আমি সন্তুষ্ট এবং সাংবাদিকদের কাছে কৃতজ্ঞ।”

ডিএফইডি’র নরসিংদী জোনাল ম্যানেজার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে তিন জন কর্মকর্তা শ্রাবণীর বাড়িতে যান এবং মালামাল ফেরত দেওয়া হয়। তিনি আরও জানান, কোনো জোর প্রয়োগ ছাড়াই গৃহবধূ স্বেচ্ছায় কিস্তির টাকার পরিবর্তে মালামাল দিয়েছিলেন। মঙ্গলবার বিকেলে তিনি ৯,৫০০ টাকা জমা দিয়ে নিজের মালামাল ফেরত নিয়েছেন।

ডিএফইডি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার সাহিদুল কবীর ঘটনার তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছেন। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিটিতে সহকারী ব্যবস্থাপক (নিরীক্ষা) মো. মনিরুল ইসলাম আহ্বায়ক, নারায়ণগঞ্জের জোনাল ম্যানেজার মুহাম্মদ খায়রুল ইসলাম ও এমআইএস কো-অর্ডিনেটর মো. আব্দুর রাজ্জাক সদস্য হিসেবে রয়েছেন।

শ্রাবণী হীরা চিতলমারী শাখা থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। তার স্বামী রিপন রায় কাজের জন্য বাইরে থাকায় কিস্তি খেলাপের অভিযোগ উঠলে, ২৯ অক্টোবর সকালে এনজিও কর্মকর্তারা তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান। পরে অভিযোগ অনুসারে দুইটি ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে তার হাতে থাকা আংটি, নাকফুল ও পিতলের বদনা নেওয়া হয়।

এম

Link copied!