কনডেম সেলে ১২ ফাঁসির আসামির কান্না

  • নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৭, ২০১৭, ০৯:৪৭ পিএম
কনডেম সেলে ১২ ফাঁসির আসামির কান্না

নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুন মামলার রায় ঘোষণার পর জেলা কারাগারে দণ্ডপ্রাপ্ত ১৮ আসামিকে রাখা হয়েছে। যাদের মধ্যে ১২ জনই মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত। তাদের রাখা হয়েছে কারগারের ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের জন্য নির্ধারিত কনডেম সেলে। আর অন্য ৬ আসামিকে রাখা হয়েছে অন্যান্য সেলে।

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে জেলা কারাগারের জেলার আসাদুর রহমান সোনালীনিউজকে বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ কারাগারে আগেই ১৩ জন আসামি ছিলো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত তাদের সঙ্গে নতুন করে সোমবার (১৬ জানুয়ারি) আরো ১২ জন যুক্ত হয়েছে। এ ২৫ জনকে ১৫টি কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। সেলগুলোতে ২ থেকে ৩ জন করে এক সঙ্গে আছেন।

আসাদুর রহমান আরও বলেন, ‘কনডেম সেলে বন্দীরা কারাবিধি অনুযায়ী যতটুকু সুবিধা পাওয়ার কথা এর থেকে বেশি কোনো সুবিধা পায়নি। আসামিরা সবাই সুস্থ আছে। সোমবার (১৬ জানুয়ারি) কারাগারে পৌঁছেই তাদের বিষণ্ণ ও কাঁদতে দেখা গেছে। এমনকি মঙ্গলবার সকাল থেকে কান্না করেছে। তারা অপিলের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে সবাইকে কারাবিধি অনুযায়ী পোশাক পরানো হয়েছে। আসামিদের রাতে সবজি, ডাল, ভাত ও মাছ, সকালে রুটি ও গুড়, দুপুরে সবজি, ভাত ও ডাল খেতে দেয়া হয়েছে। কারাবিধি অনুযায়ী ফাঁসির আসামিরা বের হতে পারবে না।’

এর আগে সোমবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে রায় ঘোষণার পর দুপুরে আনুসাঙ্গিক কাজ শেষে সাত খুনের মামলায় গ্রেপ্তার ২৩ আসামির মধ্যে নারায়ণগঞ্জ কারাগারে ১৮ ও গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে ৫ জনকে পাঠানো হয়।

নারায়ণগঞ্জ কারাগারের জেলার আসাদুর রহমান জানান, দুপুরে জেলা কারাগারে ১৮ আসামিকে আনা হয়। তাদের মধ্যে ১২ জন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ও ৬ জন বিভিন্ন কারাগারে দণ্ডপ্রাপ্ত। আর কাশীমপুর কারাগারে পাঠানো হয়েছে ৫ জনকে। তারা হলো- নূর হোসেন, র‌্যাবের চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন, লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাসুদ রানা (এমএম রানা) ও ল্যান্স নায়েক বেলাল হোসেন।

অন্যদিকে, নারায়ণগঞ্জ কারাগারে আছে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে হাবিলদার এমদাদুল হক, আরওজি-১ আরিফ হোসেন, ল্যান্স নায়েক হীরা মিয়া, সিপাহী আবু তৈয়্যব, কনস্টেবল মো. শিহাব উদ্দিন, এসআই পুর্নেন্দ বালা, র‌্যাবের সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, নূর হোসেনের সহযোগী মোর্তুজা জামান চার্চিল, আলী মোহাম্মদ, মিজানুর রহমান দিপু, রহম আলী, আবুল বাশার।

এছাড়া বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন- করপোরাল রুহুল আমিন (১০ বছর), এএসআই বজলুর রহমান (৭ বছর), হাবিলদার নাসির উদ্দিন (৭ বছর), এএসআই আবুল কালাম আজাদ (১০ বছর), সৈনিক নুরুজ্জামান (১০ বছর), কনস্টেবল বাবুল হাছান (১০)।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Link copied!