কাউন্সিলরের অত্যাচার সইতে না পেরে আত্নহত্যা!

  • মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ২৩, ২০১৭, ১০:০৩ পিএম
কাউন্সিলরের অত্যাচার সইতে না পেরে আত্নহত্যা!

নিরাপত্তা চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ

মুন্সীগঞ্জ: জেলা সদরের পাচঘড়িয়াকান্দি এলাকায় কাউন্সিলর জাকির হোসেনের অত্যাচার সইতে না পেরে ইউসুফ আলী বেপারি (৫৮) নামে এক বৃদ্ধ আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছে পরিবারের সদস্যরা।

রোববার (২৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নিজ ঘরে ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন ইউসুফ আলী। জাকির হোসেন ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এবং জেলা কমিউনিটি পুলিশের সদস্য।

নিহতের ছেলে নুরু ইসলাম জানান, জাকির হোসেন আমার বাবাকে দীর্ঘদিন ধরেই অত্যাচার করে আসছে। তিনি ৫টি সাদা স্ট্যাম্পে জোরপূর্বক আমার বাবার কাছ থেকে স্বাক্ষর নেয়। এই অভিযোগটি লিখিত আকারে গত ১৭ এপ্রিল জেলা প্রশাসকের নিকট জানানো হয়।

নিহতের ভাই মো. ইসমাইল জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আমার ভাই জাকির হোসেনের অত্যাচার সইতে না পেরে আত্মহত্যা করে। আমার ভাইয়ের হাতে একটি সুইসাইড নোট ছিল, যা জাকির হোসেন জোরপূর্বক বাড়িতে প্রবেশ করে নিয়ে যায়। কি লিখা ছিল তা জানা নেই।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইউনুচ আলী জানান, পুলিশ খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কাউন্সিলর জাকির হোসেন জানান, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা। ইউসুফ আলীর পরিবারের সদস্যরা আমাকে যেভাবে দোষারোপ করছে তা ঠিক নয়।

জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা জানান, গত ১৭ এপ্রিল যে অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছিল, আমি তার দ্রুত ব্যবস্থা নেই। দোকান বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল, তা আমি খুলে দেয়ার ব্যবস্থা করি। কাউন্সিলর জাকির হোসেনকে ডেকে এনে দোকান বন্ধ করতে নিষেধ করি এবং আইন নিজের হাতে তুলে না নিতে নিষেধ করি। তার আত্মহত্যার খবর পেয়ে আমি ব্যথিত।

নিহতের স্ত্রী আছমা বেগম গত ১৭ এপ্রিল জেলা প্রশাসক বরাবর নিরাপত্তা চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। অভিযোগে কাউন্সিলর জাকির হোসনের বিরুদ্ধে ৫টি সাদা ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর এবং দোকান বন্ধ করে দেয়াসহ মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দেয়।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Link copied!