স্ত্রী তালাক দেয়ায় শ্বশুরকে ন্যাড়া করলো জামাতা!

  • নীলফামারী প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ২৮, ২০১৭, ১০:৫৭ পিএম
স্ত্রী তালাক দেয়ায় শ্বশুরকে ন্যাড়া করলো জামাতা!

নীলফামারী: জেলার ডিমলায় স্ত্রী স্বামীকে তালাক দিয়ে অন্যত্র বিয়ে করায় শ্বশুরের (মেয়ের বাবার) মাথা ন্যাড়া করে জুতার মালা পরিয়ে এলাকায় ঘুরিয়েছে বলে জামাতা আতাউর রহমান তোরাবের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠেছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে মধ্যযুগীয় বর্বরতার এ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের ছাতনাই গ্রামে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৮ বছর আগে মজিবর রহমানের মেয়ে ছকিনা বেগমের সঙ্গে খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের বন্দর খড়িবাড়ী গ্রামের আতাউল ইসলামের বিয়ে হয়। গত ২ মাস পূর্বে ছকিনা বেগম আতাউলকে তালাক দিয়ে অন্যত্র বিয়ে করেন। স্ত্রী অন্যত্র বিয়ে করায় শ্বশুর মজিবর রহমানের উপর ক্ষিপ্ত হয় জামাতা আতাউল।

বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে মজিবর রহমান (৬০) ডিমলা থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে খগার হাটে চায়ের দোকানে চা খেতে বসে। এসময় জামাতা আতাউল ইসলাম তোরাব তাকে দেখতে পেয়ে ওৎ পেতে থাকে। চায়ের দোকান থেকে মজিবর রহমান বের হলে তাকে খগার হাটের পূর্ব দিকে এক কিলোমিটার রাস্তা টেনে-হিচঁড়ে তার বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে ব্লেড নিয়ে মজিবরের অর্ধেক মাথা ন্যাড়া করে চুন কালি মাখিয়ে গলায় জুতার মালা পড়িয়ে আবারো বাজারে নিয়ে আসে। রাত ১১টার দিকে ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকার শত শত জনতা খগারহাটে মজিবরকে ঘিরে রাখে। পরে পুলিশ গিয়ে বালাপাড়া ইউপি সদস্য সেলিম আজাদের মাধ্যমে মজিবর রহমানকে নিজ বাড়িতে পাঠায়।

মজিবর রহমান বলেন, আমাকে অন্যায়ভাবে বাজার থেকে টেনেহেচড়ে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে মাথা ন্যাড়া করে চুন কালি লাগিয়ে দিয়ে গলায় জুতার মালা পড়িয়ে এলাকায় ঘোরায়। আমি প্রশাসনের নিকট বিচার দাবি করছি।

বালাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম ভুইয়া বলেন, বিষয়টি মানবাধিকার লঙ্ঘনের পাশাপাশি চরম অন্যায়।

ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজ উদ্দিন শেখ বলেন, বিষয়টি জানার পর রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে মজিবর রহমানকে ইউপি সদস্য সেলিম আজাদের সঙ্গে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। মামলা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। মামলা দিলে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Link copied!