সরকারি মূল্যে গোডাউনে চাল দিতে বিমুখ মিলাররা

  • নীলফামারী সংবাদদাতা | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ৪, ২০১৭, ০১:৫২ পিএম
সরকারি মূল্যে গোডাউনে চাল দিতে বিমুখ মিলাররা

নীলফামারী : সরকারি ক্রয় মূল্যের চেয়ে বাজার মূল্য বেশি হওয়ায় সরকারি খাদ্য গোডাউনে চাল দিতে বিমুখ নীলফামারীর মিলাররা। এছাড়া উৎকোচসহ নানা জটিলতা ও হয়রানীর কারণে মিলাররা সরকারি ক্রয় কেন্দ্রে চাল বিক্রি করতে আগ্রহ হারিয়েছেন।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্র মতে নীলফামারী জেলায় তালিকাভূক্ত হাসকিং মিলের সংখ্যা ৫৭৩টি। এর মধ্যে এবছর ১২০টি মিল সরকারি ক্রয় কেদ্রে চাল বিক্রি করতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত চুক্তিবদ্ধ মিলারদের কাছ থেকে প্রতিকেজি চাল ৩৪ টাকা দরে সংগ্রহ করা হবে বলে জানান খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিস। এতো কম মিলার চাল বিক্রি করতে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার কারণ হিসেবে জানা গেছে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বাজার মূল্য  বেশি।

নীলফামারীর বিভিন্ন হাট-বাজার ঘুরে দেখা গেছে বর্তমানে চিকন চাল প্রতি কেজি ৪২ থেকে ৫০ টাকা আর মোটা চাল ৩৬ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ সরকার নির্ধারিত মূল্য হচ্ছে ৩৪ টাকা। সরকার নির্ধারিত মূল্যে ক্রয় কেন্দ্রে চাল সরবরাহ করলে মিলাররা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত  হবে। আর এই কারণে এবার অনেক মিলার সরকারী ক্রয় কেন্দ্রে চাল বিক্রি করতে চুক্তি বদ্ধ হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন মিলার জানান নিজের লাভটা সবাই বোঝে। কেউতো নিজের লোকসান করে চাল বিক্রি করবে না। যারা চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন তারা অনেকটা বাধ্য হয়ে হয়েছেন। এছাড়া সরকারী ক্রয় কেন্দ্রে চাল বিক্রি করতে গিলে শ্রমিক-কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের উৎকোচ দিতে হয়। উৎকোচ না দিলে হয়রানী ও নানা ঝামেলায় পড়তে হয় বলে জানান মিলাররা। এদিকে চুক্তিবদ্ধ হতেও উৎকোচ দিতে হয় মিলারদের বলে জানা গেছে।

নীলফামারীর ডোমার উপজেলার ভাই ভাই হাসকিং মিলের প্রতিনিধি শফিয়ার রহমান অভিযোগ করে বলেন, ৩১মে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সম্পাদন করে চুক্তিবদ্ধ হতে ডোমার উপজেলা খাদ্য বিভাগে গেলে উপ-খাদ্য পরিদর্শক বিলকিছ বেগম মিল প্রতি এক হাজার টাকা করে উৎকোচ দাবী করেন। তিনি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বিলকিছ বেগম মিল চুক্তিবদ্ধ হবেনা বলে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হন। বিষয়টি শফিয়ার রহমান নীলফামারী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সহ খাদ্য বিভাগের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের অবহিত করলে উপ-খাদ্য পরিদর্শক আরো ক্ষীপ্ত হয়ে শফিয়ার রহমানকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে অফিস থেকে বের করে দেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাজী সাইফুদ্দিন জানান বাজার দরের চেয়ে সরকারি মূল্য কম হওয়ায় মিলাররা চুক্তিবদ্ধ হচ্ছে না।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Link copied!