ঢাকা: সাভারের আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়নের চৌরাবালি এলাকায় একটি বাড়ি ঘেরাও করে গ্রেপ্তার করা চার জঙ্গি সারোয়ার-তামিম গ্রুপের সদস্য বলে জানিয়েছেন র্যাব।
ওই জঙ্গি আস্তানায় আর কোনো জঙ্গি নেই। চার জঙ্গি আত্মসমর্পণের পর সমাপ্ত ঘোষণা করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। তবে বাড়িটির ভেতরে কাজ করছেন বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল।
রোববার (১৬ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার চার জঙ্গি গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী নব্য জেএমবির তামিম গ্রুপের সদস্য। ওই এলাকায় তাদের নাশকতার পরিকল্পনা ছিল।
গ্রেপ্তার চার জঙ্গি হলো- মোজাম্মেল হক, রাশেদুন্নবী, ইরফানুল ইসলাম ও আলমগীর হোসেন। এদের মধ্যে মোজাম্মেল হক হলেন দলের প্রধান।
মুফতি মাহমুদ খান জানান, দেড় মাস আগে আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়নের চৌরাবালি এলাকায় ওই চারজন পোশাক কারখানার শ্রমিক পরিচয়ে বাসাটি ভাড়া নেন। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার (১৫ জুলাই) রাত ১টার দিকে বাড়িটি ঘিরে অভিযান চালায়।
রাত ৩টার দিকে জঙ্গিরা জানতে পারেন র্যাব বাড়িটি ঘিরে রেখেছে। রোববার (১৬ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে জঙ্গিরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ও বোমা ছোড়ে। এসময় র্যাব ওই জঙ্গিদের আত্মসমর্পণ করার জন্য মাইকে আহ্বান জানায়।
তাদের বলা হয়, দুপুর ১২টার মধ্যে আত্মসমর্পণ না করলে র্যাব অভিযান চালাবে। এতে জঙ্গিরা নিহত হতে পারেন। র্যাবের এ ঘোষণার পর এক ‘জঙ্গি’ আত্মসমর্পণ করেন। পরে তার মাধ্যমে অপর তিন জঙ্গিকে আত্মসমর্পণ করানো হয়।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বলেন, গ্রেপ্তার ‘জঙ্গিদের’ জিজ্ঞাসাবাদ করলে আরো তথ্য জানা যাবে।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম
আপনার মতামত লিখুন :