বিয়ের প্রস্তুতি শেষ, ফিরে যেতে হয় বরকে!

  • হবিগঞ্জ প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ১৬, ২০১৮, ১০:০৫ পিএম
বিয়ের প্রস্তুতি শেষ, ফিরে যেতে হয় বরকে!

প্রতীকী ছবি

হবিগঞ্জ: বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেল দুই স্কুলছাত্রী। বিয়ের সকল প্রস্তুতি শেষ করলেও তা পণ্ড করে দেয় প্রশাসন। ফলে বধূ না নিয়ে ফিরে যেতে হয় বরকে।

সূত্র জানায়, জেলার নবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে রুমি আক্তার নামে এক স্কুলছাত্রী বাল্যবিয়ে হাত থেকে রক্ষা পায়। শুক্রবার (১৬ মার্চ) দুপুরে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তারিন বাশার লিমা এ বিয়ে বন্ধ করেন।

রুমি উপজেলার কালিয়ারভাঙা ইউনিয়নের পুরানগাঁও গ্রামের ফরিদ মিয়ার মেয়ে এবং স্থানীয় রাজরানী শুভাশীনি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী।

মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তারিন বাশার লিমা জানান, শুক্রবার দুপুরে পুরানগাঁও গ্রামের ফরিদের মেয়ে রুমির বাল্যবিয়ের আয়োজন করে তার পরিবার। বিষয়টি জানতে পেরে উপজেলা আনসার বিডিপির টিম লিডার কুলসুমা বেগম মোবাইল ফোনে প্রশাসনকে অবগত করেন। পরে তিনি সেখানে  গিয়ে কনের বাবা-মা এবং পরিবারের সবাইকে বাল্যবিয়ের কুফল সম্পর্কে অবহিত করে বিয়ে বন্ধ করে দেন। পরে কনের বাবা-মাসহ স্বজনরা মেয়ের বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবে না বলে মুচলেকা দেন।

এদিকে, শহরতলীর সুলতানশীতে মুক্তা আক্তার (১৩) নামে এক স্কুলছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ করে দেয় প্রশাসন।

জানা যায়, ওই গ্রামের করিম মিয়ার কন্যা মুক্তা আক্তারের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে একই গ্রামের মোশাহিদ মিয়া (১৪) নামে এক কিশোরের। সম্প্রতি তারা একে অপরকে কাছে পেয়ে মরিয়া হয়ে উঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার (১৩ মার্চ) তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসি তাদের একই এলাকার অন্য একটি বাড়িতে আটক করে বিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

বৃহস্পতিবার (১৫ মার্চ) রাতে তাদের বিয়ের আয়োজন করলে তারা প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়ায় তাদেরকে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিয়ে পণ্ড করে দেয়।

সদর থানার এসআই আতোয়ারের মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Link copied!