গ্রেপ্তারের পর ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আসামি নিহত

  • সাতক্ষীরা প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ২৯, ২০১৮, ১০:০৭ এএম
গ্রেপ্তারের পর ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আসামি নিহত

সাতক্ষীরা: জেলার সদর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে এক আসামি নিহত হয়েছেন। রোববার (২৯ এপ্রিল) ভোরে উপজেলার আবাদের হাট এলাকার মল্লিকপাড়ায় ‘বন্দুকযুদ্ধের’ এ ঘটনা ঘটে।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহমেদ জানান, নিহত নবাদ আলী সদর উপজেলার বকচরা গ্রামের মজিদ মোল্লার ছেলে। তার বিরুদ্ধে কমপক্ষে ১৫টি হত্যা, ডাকাতি, দস্যুতা ও ছিনতাই মামলা রয়েছে।

ওসি আরো বলেন, নবাদ একটি ডাকাত দল পরিচালনা করতেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি পলাতক ছিলেন। শনিবার রাতে নবাদকে গ্রেপ্তার করে পাটকেলখাটা থানা পুলিশ। পরে তাকে সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

‘গতকাল গভীর রাতে নবাদকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আবাদের হাটের মল্লিকপাড়ায় যায় পুলিশ। একপর্যায়ে নবাদের বাহিনীর লোকজন তাকে ছিনিয়ে নেয়ার জন্য পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। আত্মরক্ষায় পুলিশও পাল্টা গুলি করে। এ সময় দুইপক্ষের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে নবাদ আহত হন। তাকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’

ওসি আরো দাবি করেন, এ সময় সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইব্রাহীম খলিল এবং কনস্টেবল আশিকুজ্জামান ও তুহিন আহত হন। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি গুলি, চারটি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য নবাদের লাশ সাতক্ষীরা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

তবে নিহত নবাদ আলির স্ত্রী লাভলি বেগম বলেছেন ভিন্ন কথা। তিনি দাবি করেন, নবাদকে পাটকেলঘাটা থানা পুলিশ শুক্রবার রাতে মিঠাবাড়ি গ্রামের মনি মেম্বারের বাড়ি থেকে আটক করে। তাকে ছাড়াতে গেলে পুলিশ দুই লাখ টাকা দাবি করে। পরে ত্রিশ হাজার টাকার রফায় সাধারণ মামলায় নবাবকে চালান দেয়ার কথা বলে পুলিশ। এই টাকা দেয়ার আগেই  জানতে পারি তাকে সাতক্ষীরা থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। শনিবার রাতে তাকে আবাদের হাট এলাকায় নিয়ে বন্দুকযুদ্ধের নামে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

নবাদের স্ত্রীর এসব দাবিকে ‘মিথ্যা ও অপপ্রচার’ বলেছেন পাটকেলঘাটা থানার ওসি রিয়াজুল ইসলাম। তিনি বলেন, এসব মিথ্যা কথা। পুলিশকে নৈতিকভাবে দুর্বল করার জন্য এসব অপপ্রচার করা হচ্ছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এআই

Link copied!