ফলোআপ

ধর্ষণের ঘটনায় প্রতিবন্ধী কিশোরী অন্ত:সত্ত্বা, অতঃপর ...

  • ভোলা প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৮, ০২:৫৩ পিএম
ধর্ষণের ঘটনায় প্রতিবন্ধী কিশোরী অন্ত:সত্ত্বা, অতঃপর ...

প্রতীকী ছবি

ভোলা : ভোলা সদর উপজেলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের এক প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়ে ৫ মাসের অন্ত:সত্ত্বার ঘটনায় অবশেষে ভোলা সদর মডেল থানায় সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুদ্ধি প্রতিবন্ধী রেহানার মা মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

সরোজমিনে গিয়ে জানা যায়, উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের আরফান আলী হাওলাদার বাড়ির আলমগীর হাওলাদারের প্রতিবন্ধী কিশোরী (২০) মেয়ে রেহানা আক্তারকে একই এলাকার পার্শ্ববর্তী সামছুল হাওলাদারের ছেলে হানিফ হাওলাদার (৪০) গত ৫ মাস পূর্বে রেহানাকে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করে।

ঘটনার পর তাৎক্ষণিক কিশোরীর মা ও বাবা হানিফের বড় ভাই হারুন হাওলাদারসহ (৪,৫,৬) নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার আরজু বেগম ও তার স্বামী বুলু মোল্লাকে জানান। কিন্তু ঘটনার ৫ মাস অতিবাহিত হলেও তারা কেউ ঘটনার কোনো বিচার না করে উল্টো ঘটনাটি ধামাচাপার জন্য লাখ টাকা নিয়ে রেহানার পরিবারকে চুপ থাকার জন্য হুমকি প্রদান করে।

এদিকে ঘটনাটি প্রথম থেকেই ধামাচাপার জন্য ধর্ষক লম্পট হানিফের পক্ষ অবলম্বন করে (৪,৫,৬) নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার আরজু বেগমের স্বামী বুলু মোল্লাসহ একটি কুচক্রী মহল দৌড়ঝাপ চালিয়ে আসছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছে।

অন্যদিকে প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণের ঘটনাটি এতদিন বুলু মোল্লা স্থানীয়ভাবে ধামাচাপা দিয়ে আসলেও (৯ সেপ্টেম্বর) বহুল প্রচারিত সোনালীনিউজ ডটকমে সংবাদটি প্রকাশিত হওয়ার পর ভোলা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিকের নজরে আসে। তার নির্দেশে ভোলা থানার উপ-পরিদর্শক মো. বশির উদ্দিন খান, আমিনুল ইসলাম এবং এ এস আই মো. সাইদসহ পুলিশের একটি টিম পর দিন সকালেই ধর্ষক হানিফকে গ্রেপ্তারের জন্য পুরো উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি স্থানে অভিযান চালায়। কিন্তু সে পলাতক থাকায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করতে পারেনি। গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত রয়েছে পুলিশ জানান।  

স্থানীয়রা জানান, সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার আরজু বেগমের স্বামী বুলু মোল্লা একাধিক নারী কেলেঙ্করীসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত। গত চার মাস পূর্বে  নতুন মসজিদ এলাকার পূর্বপাশে এক গৃহবধূর সঙ্গে রাতের আধারে অনৈতিক কাজে মেলামেশা অবস্থায় স্থানীয় জনতা হাতেনাতে ধরে বুলু মোল্লাকে উত্তম মাধ্যম দেয়। একপর্যায় সে জনরোষ থেকে বাঁচতে পালিয়ে যায় বলে জানায় স্থানীয়রা। অপরদিকে ভিজিডি, ভিজিএফ-এর কার্ড দেওয়ার নাম করে দুঃস্থ মহিলাদেরও যৌন হয়রানি এবং টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Link copied!