আবু সাঈদ হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে হাসনাত আবদুল্লাহ

  • আদালত প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৯, ২০২৫, ১০:৪৭ এএম
আবু সাঈদ হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে হাসনাত আবদুল্লাহ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক ও জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি ট্রাইব্যুনাল-২ এ পৌঁছান।

বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চে আজ হাসনাতের সাক্ষ্য রেকর্ড করা হচ্ছে। প্যানেলের অন্য সদস্যরা হলেন—অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।

হাসনাত আবদুল্লাহ আজ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি হাসিবুর রশীদসহ মোট ৩০ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিচ্ছেন।

মামলার ছয় গ্রেপ্তার আসামি—এএসআই আমির হোসেন, বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী, রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ—আজ সকালে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

২৭ নভেম্বর ২১ নম্বর সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়। এর আগে ২৩ নভেম্বর আরেক শিক্ষার্থী জানান, আবু সাঈদকে হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত ঘোষণা করা হলে পুলিশ পথ থেকে লাশটি তুলে নিয়ে যায়।
১৮ নভেম্বর শিক্ষার্থী শান-এ রওনক বসুনিয়া, ১৬ নভেম্বর মিঠাপুকুর থানার ওসি নূরে আলম সিদ্দিক, ১৩ নভেম্বর পুলিশ নায়েক আবু বকর সিদ্দিক এবং ১২ নভেম্বর এসআই আশরাফুল ইসলাম গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন করেন।

এসআই আশরাফুল জানান, তৎকালীন এসি আরিফুজ্জামান ও তাজহাট থানার ওসি রবিউল ইসলামের নির্দেশে গুলিবর্ষণে আবু সাঈদ নিহত হন।

১১ নভেম্বর রংপুর কারমাইকেল কলেজের শিক্ষার্থী ইমরান আহমেদ এবং ১০ নভেম্বর বেরোবির শিক্ষার্থী আকিব রেজা খান ঘটনার প্রত্যক্ষ বিবরণ দেন।

৪ নভেম্বর, ২১ অক্টোবর ও ১৩ অক্টোবর সাক্ষী না আসায় তিনবার শুনানি পেছায়। ৬ অক্টোবর নবম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণে দুই এসআই—রফিক ও রায়হানুল রাজ দুলাল—জবানবন্দি দেন।

২৮ আগস্ট আবু সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন এবং সাংবাদিক মঈনুল হকের জবানবন্দির মধ্য দিয়ে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। এর আগে ৬ আগস্ট ৩০ আসামির বিরুদ্ধে ফর্মাল চার্জ গঠন করে বিচার শুরু করার নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।

মামলার ৩০ জন আসামির মধ্যে ২৪ জন এখনো পলাতক। তাদের জন্য রাষ্ট্রীয় খরচে আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন তারিখে রাষ্ট্রনিযুক্ত ও ব্যক্তিগত আইনজীবীরা পৃথকভাবে আসামিদের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন।

২৪ জুন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয় এবং পুরো মামলায় সাক্ষীর সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬২ জন।

এম

Link copied!