বর্ষা-মাহিরকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এল জোবায়েদ হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০২৫, ১১:৫৯ এএম
বর্ষা-মাহিরকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এল জোবায়েদ হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য

ছবি: সংগৃহীত

পুরান ঢাকার আরমানীটোলায় খুন হওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জোবায়েদ হোসাইনকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা হয়েছিল মাসখানেক আগেই। প্রেম, প্রত্যাখ্যান ও প্রতিশোধের জটিল মনস্তাত্ত্বিক গিঁট থেকে জন্ম নেয় এই হত্যাকাণ্ডের ছক।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে বংশাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, অভিযুক্ত ওই ছাত্রী ও মাহিরকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হত্যার পরিকল্পনার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন তারা।

বংশাল থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, মাহির ও বর্ষার সম্পর্ক ছিল দীর্ঘ ৯ বছরের। কিন্তু হঠাৎ করেই বর্ষা জোবায়েদের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েন এবং মাহিরকে জানান, তিনি আর আগের মতো অনুভব করেন না। কিছুদিন পর আবার বর্ষা মত বদলে জানান, জোবায়েদের প্রতিও তিনি আগ্রহ হারিয়েছেন।

এই বিভ্রান্তিকর অবস্থার জেরে ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে মাহির ও বর্ষা মিলে জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করতে শুরু করেন।

ওসি বলেন, ঘটনার দিন মাহির রহমান তার দুই বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে বর্ষার বাসায় আসে। তারা নতুন দুটি সুইচ গিয়ার ছুরি কিনে এনেছিল খুনের উদ্দেশ্যে।

রোববার বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে, বর্ষার বাসার তৃতীয় তলায় ওঠার পথে সিঁড়িতে জোবায়েদের উপর অতর্কিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে মাহির। উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত চালায় সে।

সিঁড়ির নিচ থেকে তিনতলা পর্যন্ত রক্তের দাগ ছড়িয়ে ছিল। তৃতীয় তলার সিঁড়িতে উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় জোবায়েদকে।

প্রথমে বর্ষা পুরো ঘটনা অস্বীকার করলেও পরে মাহির ও বর্ষাকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে প্রকৃত তথ্য। তারা স্বীকার করে, এটি সম্পূর্ণ পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। বর্ষা নিজেই মাহিরকে জোবায়েদকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিল।

এ ঘটনায় বর্ষা ও মাহিরসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বংশাল থানার ওসি। মামলার প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে রয়েছে। হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।

এম

Link copied!