তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে তৃতীয় দিনের চূড়ান্ত শুনানি চলছে

  • আদালত প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ২৩, ২০২৫, ১১:০৬ এএম
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে তৃতীয় দিনের চূড়ান্ত শুনানি চলছে

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে দায়ের করা রিভিউ আবেদনের তৃতীয় দিনের চূড়ান্ত শুনানি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের সাত সদস্যের বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়।

এর আগে বুধবার (২২ অক্টোবর) দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারের পক্ষে আইনজীবী তার যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন। তিনি ১৪তম জাতীয় নির্বাচন থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা কার্যকর করার আবেদন জানান।

শুনানিকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ প্রশ্ন তোলেন,“যদি রায়ের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরে আসে, তাহলে কি সংসদের ক্ষমতা খর্ব হবে না?”

এ সময় রিটকারী পক্ষের আইনজীবীরা বলেন, রায়ের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরে এলে সেটি অন্তর্বর্তী সরকার হিসেবে সংজ্ঞায়িত হবে কি না, তা রায়ে স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা জরুরি—বিশেষ করে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে।

এর আগে মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) প্রথম দিনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ওইদিন সকালে ড. শরীফ ভূঁইয়া বদিউল আলম মজুমদারের পক্ষে শুনানি শুরু করেন। এরপর বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরাও তাদের যুক্তি উপস্থাপন করেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদনগুলোর ওপর শুনানি শেষে গত ২৭ আগস্ট আপিলের অনুমতি দেয় আপিল বিভাগ। পরে ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতে ইসলামী সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ পাঁচজন এই বিষয়ে আপিল করেন।

উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা চালু করা হয়। তবে এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগ রিটটি খারিজ করে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করে।

এম

Link copied!