মামুন হত্যায় অংশ নেওয়া দুই শুটার যেভাবে গ্রেপ্তার হলেন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২৫, ০৯:৪৪ এএম
মামুন হত্যায় অংশ নেওয়া দুই শুটার যেভাবে গ্রেপ্তার হলেন

পুরান ঢাকায় শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুন হত্যার ঘটনায় জড়িত দুই পেশাদার শুটারকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন রুবেল ও ইব্রাহিম, যারা দীর্ঘদিন ধরে ভাড়াটে খুনি হিসেবে কাজ করে আসছিলেন।

ডিবি সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় কুমিল্লার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। সীমান্ত এলাকা হয়ে দেশত্যাগের চেষ্টা করছিলেন তারা।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মল্লিক আহসান সামী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, “নিহত তারিক সাইফ মামুন ‘ইমন-মামুন’ গ্রুপের অন্যতম নেতা ছিলেন। পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসীদের একজন হিসেবে তার নাম বহুদিন ধরে আমাদের নজরদারিতে ছিল।”

এর একদিন আগে, সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালে পুরান ঢাকার সূত্রাপুর এলাকায় প্রকাশ্যে গুলি করে মামুনকে হত্যা করা হয়। তিনি আদালতে হাজিরা শেষে আফতাবনগরের বাসায় ফেরার পথে হামলার শিকার হন। দুই বছর আগে তেজগাঁও এলাকায়ও তার ওপর হামলার চেষ্টা হয়েছিল।

সূত্রাপুরের ওই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের তথ্যে দেখা যায়, সকাল ১০টা ৫৩ মিনিটে মামুন ন্যাশনাল হাসপাতালের গেটের সামনে এসে গাড়িতে উঠতে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ মোটরসাইকেলে এসে দুই ব্যক্তি তার দিকে গুলি চালাতে থাকে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই তারা হত্যাকাণ্ড শেষ করে অস্ত্র কোমরে গুঁজে বাম দিকে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তাদের মুখে মাস্ক ও মাথায় ক্যাপ ছিল।

গুলির শব্দে হাসপাতাল এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মানুষ ছুটোছুটি শুরু করে, রিকশাচালক ও পথচারীরা আশ্রয় নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, গুলিবিদ্ধ মামুন দৌড়ে হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে পড়ে যান এবং সেখানে লুটিয়ে পড়েন। কয়েকজন লোক তাকে ট্রলিতে করে জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলেও চিকিৎসকরা জানান, তিনি ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। পরে মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এই ঘটনা প্রকাশের পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই বলছেন, নিহত ব্যক্তি যেই হোন না কেন, রাজধানীর বুকে প্রকাশ্যে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড উদ্বেগজনক। তারা দ্রুত জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত দুই শুটারের কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি ‘ইমন-মামুন’ গ্রুপের অন্য সদস্যদেরও শনাক্ত করে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এম

Link copied!