ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র এবং ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় অভিযুক্ত শুটার ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খানের স্ত্রী ও শ্যালকসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন— ফয়সালের স্ত্রী বেগম সামিয়া, শ্যালক শিপু এবং বেগম মারিয়া। এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয়জনে।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাতে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, আটক ব্যক্তিদের কাছ থেকে অভিযুক্ত ফয়সাল করিম মাসুদের স্বাক্ষরযুক্ত বিপুল পরিমাণ চেকবই এবং বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইলেকট্রনিক ডিভাইস উদ্ধার করা হয়েছে।
এর আগে একই দিন বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন নজরুল ইসলাম বলেন, শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট সন্দেহভাজনদের পাসপোর্ট ব্লক করা হয়েছে। পাশাপাশি ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন— সিবিয়ন দিও ও সঞ্জয় চিসিম। অন্যদিকে, র্যাব পৃথক অভিযানে সন্দেহভাজন মো. আব্দুল হান্নানকে আটক করে পল্টন থানায় হস্তান্তর করেছে। অভিযানের সময় হামলায় ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেলও জব্দ করা হয়।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা দুই সন্দেহভাজনের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে এস এন নজরুল ইসলাম বলেন, তারা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন— এমন কোনো তথ্য পুলিশের কাছে নেই। তার ভাষ্য অনুযায়ী, ফয়সাল মোটরসাইকেলের পেছনে বসে ওসমান হাদির ওপর গুলি চালায় এবং মোটরসাইকেলটি চালাচ্ছিল আলমগীর। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ফয়সাল চলতি বছরের জুলাই মাসে থাইল্যান্ড থেকে দেশে ফেরেন।
এদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শরিফ ওসমান হাদিকে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।
কার্যালয় সূত্র জানায়, প্রয়োজনীয় মেডিকেল এয়ার অ্যাম্বুলেন্স, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল এবং ভ্রমণসংক্রান্ত সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের অ্যাক্সিডেন্ট অ্যান্ড ইমার্জেন্সি বিভাগে তার চিকিৎসার পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এম
আপনার মতামত লিখুন :