ঢাকা : প্রতি কেজি খোলা চিনির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৭৪ টাকা ও প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) থেকে কার্যকর হবে।
অপরিশোধিত চিনির আন্তর্জাতিক বাজারদর ও স্থানীয় পরিশোধনকারী মিলসমূহের উৎপাদন ব্যয় বিবেচনায় এনে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) এই দাম নির্ধারণ করা হয়।
আরও পড়ুন : ফের বিয়ের পিঁড়িতে মাহিয়া মাহি!
বৈঠক শেষে অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান সাংবাদিকদের এ দাম নির্ধারণের বিষয়টি জানান।
সম্প্রতি খুচরা বাজারে খোলা চিনি ৮০ টাকা ও প্রতি কেজি প্যাকেট চিনির দাম ৮০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। এই প্রেক্ষাপটে প্রথমবারের মতো চিনির দাম বেঁধে দিল সরকার।
৫ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বাড়তে থাকায় প্রতি কেজি খোলা চিনির দাম ৮৫ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনির দাম ৯৮ টাকা করার প্রস্তাব করে বাংলাদেশ সুগার রিফাইনারস অ্যাসোসিয়েশন।
আরও পড়ুন : শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে গিয়ে একদিনেই কোটিপতি
ওই দিন সংস্থাটি জানায়, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত ও পরিশোধিত চিনির মূল্য ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি সত্ত্বেও দেশের চাহিদা ও জোগানের মধ্যে ভারসাম্য রাখার স্বার্থে চিনি আমদানি করে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। যেহেতু আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়ছে, তাই দেশীয় বাজারে তার প্রভাব পড়াই স্বাভাবিক। এ অবস্থায় প্রতি কেজি খোলা চিনির দাম ৮৫ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনির দাম ৯৮ টাকা করার প্রস্তাব পুনর্নির্ধারণের প্রস্তাব করা হলো।
তবে আজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৭৪ টাকা ও প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হলো।
আরও পড়ুন : সুন্দরবনে দেখা মিললো মাঝি-মাল্লাবিহীন ইলিশবোঝাই ট্রলার
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সফিকুজ্জামান বলেন, ‘চিনির দাম বেড়ে ৮০ টাকায় উঠে গিয়েছিল। আমরা কেজিতে পাঁচ টাকা করে দাম কমিয়েছি। এখন থেকে প্রতি কেজি খোলা চিনি ৭৪ টাকা ও প্যাকেট চিনি ৭৫ টাকার মধ্যে বিক্রি হবে।’
বৈঠকে চিনি উৎপাদনকারী সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, দেশবন্ধু গ্রুপসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :