মৃত্যুর ২৮ বছর পর শেয়ারের অর্থ পাচ্ছেন জাহানারা ইমাম

  • নিজস্ব প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২০, ২০২২, ১১:৩৬ এএম
মৃত্যুর ২৮ বছর পর শেয়ারের অর্থ পাচ্ছেন জাহানারা ইমাম

ফাইল ছবি

ঢাকা : শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করেছিলেন ‘শহীদ জননী’ জাহানারা ইমামের। মারা যাওয়ার ২৮ বছর পর শেয়ার ও লভ্যাংশের অর্থ ফিরে পাচ্ছে তার পরিবার। জাহানারা ইমামের পক্ষে অর্থ নিবেন তার ছোট ছেলে সাইফ ইমাম জামীর। লভ্যাংশসহ বিনিয়োগকৃত শেয়ারের মূল্য দাঁড়িয়েছে প্রায় দেড় লাখ টাকা।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে এ অর্থের চেক তুলে দেবেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম ও পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিলের (সিএমএসএফ) চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তালিকাভুক্ত কোম্পানি ‘দ্য ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড’-এর বেশ কিছু শেয়ারে বিনিয়োগ করেছিলেন জাহানারা ইমাম। বর্তমানে কোম্পানিটি ওভার দ্য কাউন্টার মার্কেটে (ওটিসি) রয়েছে। বর্তমানে প্রতি শেয়ারের দাম ১১০ টাকা। জাহানারা ইমাম ৬৫ বছর বয়সে ১৯৯৪ সালে মারা যান।

সূত্র জানায়, জাহানারা ইমামের বিনিয়োগ করা শেয়ার এবং ১৯৯৩ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সময়ে শেয়ারের লভ্যাংশের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৪২ হাজার ৪১০ টাকা, যা গত ২৮ বছর কোম্পানিটির কাছে ছিল। এখন অর্থ পরিশোধ করছে পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিলে (সিএমএসএফ)। তহবিলটি গঠন করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।

জাহানারা ইমাম ছিলেন একজন বাংলাদেশি লেখিকা, কথাসাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ এবং একাত্তরের ঘাতক দালাল বিরোধী আন্দোলনের নেত্রী। বাংলাদেশে ‘শহীদ জননী’ হিসেবে তিনি পরিচিত। তার বিখ্যাত গ্রন্থ ‘একাত্তরের দিনগুলি’। একাত্তরে তার জ্যেষ্ঠ পুত্র শাফী ইমাম রুমী দেশের মুক্তিসংগ্রামে অংশ নেন এবং কয়েকটি সফল গেরিলা অপারেশনের পর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন এবং পরে নির্যাতনের শিকার হয়ে শহীদ হন। বিজয় লাভের পর রুমীর বন্ধুরা রুমীর মা জাহানারা ইমামকে ‘সব মুক্তিযোদ্ধার মা’ হিসেবে বরণ করে নেন৷ রুমীর শহীদ হওয়ার সূত্রে তিনি শহীদ জননীর মর্যাদায় ভূষিত হন।

১৯২৯ সালের ৩ মে জাহানারা ইমাম পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে মুসলমান পরিবারে জন্ম নেন। তার পিতা সৈয়দ আবদুল আলী ছিলেন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট। মায়ের নাম সৈয়দা হামিদা বেগম। তিনি ১৯৯৪ সালের ২৬ জুন মাসে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

সোনালীনিউজ/এমএএইচ

Link copied!