ঢাকা : চলতি বছর প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা দেবে ২৯ লাখ ৩ হাজার ৬৩৮ জন খুদে শিক্ষার্থী। গতবারের তুলনায় এবার এক লাখ ৯২ হাজার ৬৩২ শিক্ষার্থী কমেছে। আগামী ১৭ নভেম্বর সারা দেশে শুরু হচ্ছে এ পরীক্ষা।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, এবার প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় ২৫ লাখ ৫৩ হাজার ২৬৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবে। এর মধ্যে ছাত্র ১১ লাখ ৮১ হাজার ৩০০ জন ও ছাত্রী ১৩ লাখ ৭১ হাজার ৯৬৭ জন। গত বছরের তুলনায় এ সংখ্যা দুই লাখ ২৩ হাজার ৬১৫ জন কম হয়েছে। মাদরাসা পর্যায়ের ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষায় তিন লাখ ৫০ হাজার ৩৭১ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবে। এর মধ্যে ছাত্র এক লাখ ৮৭ হাজার ৮২ এবং ছাত্রী এক লাখ ৬৩ হাজার ২৮৯ জন। ইবতেদায়িতে গতবারের তুলনায় ৩০ হাজার ৯৮৩ জন পরীক্ষার্থী বেড়েছে।
সমাপনী পরীক্ষায় এবার ছাত্রের চেয়ে ছাত্রীর সংখ্যা এক লাখ ৬৬ হাজার ৮৭৪ জন বেশি। এ ছাড়া প্রাথমিকে তিন হাজার ৩৪৭ জন এবং ইবতেদায়িতে ২৩৬ জন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীও পরীক্ষায় বসবে। পরীক্ষার খাতা দেখায় স্বচ্ছতা আনতে এবার এক উপজেলার খাতা অন্য উপজেলায় মূল্যায়ন করা হবে। সর্বমোট সাত হাজার ৪৭০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। দেশের অভ্যন্তরে সাত হাজার ৪৫৮টি এবং আটটি দেশে ১২টি কেন্দ্র রয়েছে। দেশের বাইরে সৌদি আরবে চারটি, সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুটি এবং বাহরাইন, ওমান, কুয়েত, লিবিয়া, গ্রিস ও কাতারে একটি করে কেন্দ্র রয়েছে। বিদেশের কেন্দ্রগুলোতে পরীক্ষার্থী ৬১৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র ২৮৯ জন ও ছাত্রী ৩২৬ জন।
প্রাথমিকে পরীক্ষার্থী প্রতি বছর কমছে বলে জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব আকরাম আল-হোসেন। বলেন, প্রাথমিকে ২০১৫ সালে সবচেয়ে বেশি পরীক্ষার্থী ছিল ২৯ লাখ ৫০ হাজার। এরপর থেকে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমা শুরু হয়েছে। ২০১৬ সালে ২৯ লাখ ৩৪ হাজার ৮৭ জন, ২০১৭ সালে ২৮ লাখ ৬ হাজার ৯৬ জন এবং ২০১৮ সালে ২৭ লাখ ৭৭ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। তবে শিক্ষার্থী কমার অর্থ এই নয় যে, ড্রপ আউট হচ্ছে। ড্রপ আউট মাত্র ১৮ দশমিক ৬ শতাংশ। এটা আরো কমানো হবে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে ১৪ জেলার যে স্কুলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা খুব দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে, যাদের বইপত্র নষ্ট হয়েছে তা দিয়ে দেওয়া হবে।
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী শুরুর প্রথম দিন ১৭ নভেম্বর হবে ইংরেজি পরীক্ষা, ১৮ নভেম্বর বাংলা, ১৯ নভেম্বর বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, ২০ নভেম্বর প্রাথমিক বিজ্ঞান, ২১ নভেম্বর ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা এবং ২৪ নভেম্বর গণিত পরীক্ষা হবে। আর ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনীতে ১৭ নভেম্বর ইংরেজি, ১৮ নভেম্বর বাংলা, ১৯ নভেম্বর বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় এবং বিজ্ঞান, ২০ নভেম্বর আরবি, ২১ নভেম্বর কুরআন মাজিদ ও তাজবিদ এবং ২৪ নভেম্বর গণিত পরীক্ষা হবে। পরীক্ষা সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে শুরু হয়ে দুপুর ১টায় শেষ হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পরীক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকবে। ছয়টি বিষয়ের প্রতিটিতে ১০০ করে মোট ৬০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :