বেরোবি প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে ঘেরাও কর্মসূচি

  • বেরোবি (রংপুর) প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ১৯, ২০১৭, ০৭:৪৮ পিএম
বেরোবি প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে ঘেরাও কর্মসূচি

প্রক্টর অফিস ঘেরাও করে বসে আছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা

রংপুর: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদালয়ের (বেরোবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী দিপু চন্দ্র রায়কে পুলিশে আটকের সংবাদে তাঁর বাবার আকষ্মিক মৃত্যুর জন্য প্রক্টর (চলতি দায়িত্ব) মীর তামান্না সিদ্দীকাকে দায়ী করে তাঁর অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রক্টর অফিস ঘেরাও কর্মসূচী পালন করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (১৯ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শেষে প্রক্টর অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচী পালন করে শিক্ষার্থীরা। অবস্থান কর্মসূচীতেই তারা সমাবেশ করে।  সমাবেশে বক্তব্য দেন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী রাব্বি, মারুফ, তোফায়েল, মারিয়া, শামিম প্রমূখ।

বক্তারা অভিযোগ করেন, প্রক্টর মীর তামান্না সিদ্দীকা সেচ্ছাচারিতা করে পুলিশকে দিয়ে দিপুকে পাঁচ ঘন্টা আটকে রাখেন। আটকের সংবাদ শুনেই তার বাবা অনিল রায় মারা যান। প্রক্টর তাঁর ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তাঁকে অপসারণ না করা হলে তিনি পরবর্তীতে এ ধরণের ঘটনা আরো ঘটাতে পারেন বলে শঙ্কা প্রকাশ করে আজকের (১৯ এপ্রিল) মধ্যেই প্রক্টরের অপসারণ দাবি করে শিক্ষার্থীরা। অন্যথায় বৃগস্পতিবার (২০ এপ্রিল) প্রশাসনিক কার্যকক্রম বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণাও দেয় তারা।

গত ১৭ এপ্রিল একই দাবিতে বিক্ষোভ শেষে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দিয়ে একদিনের আল্টিমেটাম দেয় শিক্ষার্থীরা।

গত ১৪ এপ্রিল নববর্ষের মঙ্গল শোভাযাত্রা শেষ করার পর বেলা ১১ টার দিকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী দিপু রায় কয়েকজন বন্ধুসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নং গেট দিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশের সময় প্রক্টর (চলতি দায়িত্ব) মীর তামান্না সিদ্দীকা তাঁর সঙ্গে অসদাচরণের অভিযোগ করে দিপুকে পুলিশের কাছে সোর্পদ করেন। পুলিশ ফাঁড়িতে নেয়ার পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে সে অসদাচরণের কথা অস্বীকার করলে প্রক্টর দিপুকে বিভিন্ন সময়ের ভাঙচুরসহ অন্যান্য মামলায় জড়িয়ে দেয়ার জন্য পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে নির্দেশ দেন ।  

এসময় সেখানে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধানসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যপারে বেরোবি উপাচার্য ড. এ কে এম নুর-উন-নবী এর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Link copied!