উপকূলে ধ্বংস হচ্ছে ইলিশের পোনা

  • এম এ আজিম, বরগুনা | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০১৭, ০২:৪৮ পিএম
উপকূলে ধ্বংস হচ্ছে ইলিশের পোনা

বরগুনা: সমুদ্র মোহনায় ইলিশ সম্পদ ধ্বংস করতে কিছু অসাধু জেলে নেমে পড়েছে। ঘোপ নামের অবৈধ সূক্ষ্ম ফাঁসের জাল পাততে শত শত খুঁটি গেড়েছে সমুদ্র মোহনায়। একবার এ জাল পাতলে প্রতিদিন মারা পড়ে কোটি কোটি ইলিশের পোনা। মৎস্যজীবী নেতারা বলছেন, প্রশাসনকে উৎকোচ দিয়েই এসব কার্যক্রম চালাচ্ছে তারা। তবে প্রশাসনের দাবি, এ ব্যাপারে সজাগ ও কঠোর তারা।

বরগুনার বিষখালী ও বলেশ্বর নদী মোহনায় কিলোমিটারের পর কিলোমিটার এলাকায় গাছের খুঁটি গেড়েছেন কিছু অসাধু জেলে। সংবাদ কর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়ে ট্রলার নিয়ে এভাবে গভীর সমুদ্রে পালিয়ে যায় তারা।

রাতে খুঁটি গাড়ার পর তার সাথে সূক্ষ্ম ফাঁসের জাল বেঁধে দেয়া হয়। আর উপকূলে উদ্ভিদ কণা খেতে আসা ইলিশ পোনাগুলো জালে আটকা পড়ে মারা যায়। গভীর রাতে জাল তুলে সংগ্রহ করা হয় পোনা মাছ।

শুধু ইলিশ নয় সব ধরনের মাছের পোনাই এতে ধ্বংস হচ্ছে। এতে ইলিশ প্রজনন মৌসুমে জেলেদের ত্যাগ, প্রশাসনের কঠোর পরিশ্রম সবকিছু বিফলে যাচ্ছে। তবে মৎস্যজীবীরা বলছেন, উৎকোচের বিনিময়ে নীরব ভূমিকায় থাকে প্রশাসন।

মৎস্যজীবী নেতারা বলছেন, কোটি কোটি ইলিশের পোনা নষ্ট হচ্ছে। শুধু ইলিশ নয়, বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধ্বংস হয়ে যাবে যদি এই ঘোপ জাল বন্ধ না করা হয়। চোরাইভাবে মাছ মারছে। দেশের সম্পদ তারা নষ্ট করছে।

স্থানীয় মৎস্যজীবীদের এক নেতা বলেন, তাদের কাছে জিজ্ঞাসা করলেই বলে, আমরা অনুমতি নিয়েছি। কিন্তু এটার কোন ভিত্তি নাই। কারণ, সরকার যখন এটাকে অবৈধ করেছে তাই কেউই এর অনুমতি দিতে পারে না। তবে প্রশাসনের নির্লিপ্ততার কারণে তারা এই জালটা পাততে পারছে।

তবে বরগুনা জেলা প্রশাসক মোখলেছুর রহমান বলছেন, সঠিক তথ্য পেলে অভিযান চালানো হবে।

তিনি বলেন, যে পয়েন্টের কথা বলা হচ্ছে সেখানে খুব দ্রুত আমি নিজেই অভিযান চালাবো।

ইলিশ গভীর পানির মাছ হলেও ছোট অবস্থায় এরা নদী উপকূলের উদ্ভিদকলা খেয়ে বেড়ে ওঠে। পোনাগুলো ৩ থেকে ৪ ইঞ্চি পর্যন্ত বড় হলে গভীর সমুদ্রে চলে যায়। কিন্তু অবৈধ এ ঘোপ জালের ফলে লাখ লাখ পোণা আর  কখনোই সমুদ্রে ফিরে যেতে পারে না।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Link copied!