পঞ্চম দিনেও বন্ধ জাতীয় চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক:  | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ১, ২০২৫, ০১:৩৮ পিএম
পঞ্চম দিনেও বন্ধ জাতীয় চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা

ঢাকা : পঞ্চম দিনের মতো বন্ধ রয়েছে রাজধানী ঢাকার জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতের সঙ্গে হাসপাতালটির চিকিৎসক ও কর্মচারীদের মারামারি ও সংঘর্ষের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার সকাল থেকেই বন্ধ রয়েছে চিকিৎসাসেবা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা শত শত রোগীরা।

রোববার (০১ জুন) হাসপাতাল ঘুরে কোনো চিকিৎসক এবং নার্সদের উপস্থিতি চোখে পড়েনি। এদিন সকাল থেকেই বিভিন্ন স্থান থেকে চিকিৎসা নিতে আসা নতুন রোগীরা চিকিৎসা না পেয়ে ফেরত যাচ্ছেন। এছাড়াও যেসব রোগী হাসপাতাল থেকে আগে চিকিৎসা নিয়েছেন, তাদের অনেকে এসেছেন ফলোআপের জন্য। অনেকে আসছেন অপারেশনের জন্য। হাসপাতালে চিকিৎসক এবং নার্সদের উপস্থিতি না পেয়ে সেসব রোগী ফেরত যাচ্ছেন।

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় গতকাল শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত রোগীদের আশপাশের হাসপাতালের চক্ষু বিভাগ থেকে সেবা নিতে পরামর্শ দিয়েছে।

হাসপাতালের এই অচলাবস্থা কাটাতে গত শুক্রবার কয়েকজন সচিব, হাসপাতাল প্রতিনিধি, ছাত্র প্রতিনিধিসহ বৈঠক হলেও কোনো ইতিবাচক সিদ্ধান্তে আসতে পারেননি। হাসপাতালটির চিকিৎসাধীন জুলাই যোদ্ধা রোহান আহমেদ বলেন, আমি হাসপাতালেই আছি। সব ধরনের সেবা কার্যক্রম বন্ধ আছে। আমাদের খাবার ও ওষুধ বাইরে থেকে নিয়ে আসা হচ্ছে। দুপুরে চিকিৎসা চালুর বিষয়ে বৈঠক হলেও কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি। 

এর আগে গত বুধবারও আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠক হয়। বৈঠকে বেশ কয়েকজন উপদেষ্টাসহ এনসিপির নেতা নাহিদ ইসলাম, হাসনাত আবদুল্লাহ ও আবু বকর উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে আহত ৮-১০ জন জুলাই যোদ্ধাকে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট থেকে অন্যত্র স্থানান্তর করার বিষয়ে তারা সম্মত হয়েছেন।

জানা যায়, হাসপাতালের কর্মচারীরা নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ করে বলেছেন, হাসপাতালের ভেতর জুলাই যোদ্ধাদের কিছু অংশ সহিংস আচরণ করেছে। ভাঙচুর ও হামলার ঘটনা ঘটেছে বারবার। এতে চিকিৎসক ও স্টাফরা আতঙ্কে রয়েছেন।

হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. জানে আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আমরা সবার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসক ও কর্মীরা কাজে ফিরতে অনিচ্ছুক।’

এদিকে শনিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৯ মে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যকর্মীরা হাসপাতালের অভ্যন্তরে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ফলে ওই দিন থেকেই হাসপাতালের নিয়মিত কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালে শুধু জুলাই অভ্যুত্থানে আহতরা অবস্থান করছেন। সারাদেশ থেকে আসা অন্য চক্ষু রোগীরা চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। এ পরিস্থিতিতে মন্ত্রণালয় দুঃখ প্রকাশ করছে।

পিএস

Link copied!