জাপানের উত্তরের হোক্কাইডো অঞ্চলে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। সোমবার রাতে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের পর দেশটির উপকূলীয় এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
জেএমএ জানায়, জাপানের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের বড় এলাকা কেঁপে ওঠে। এরপর হোক্কাইডো, আওমোরি ও ইওয়াতে প্রিফেকচারের জন্য সুনামি সতর্কতা দেওয়া হয়।
সংস্থাটি আরও জানায়, ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র ছিল আওমোরি উপকূল থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরে সমুদ্রে এবং এর গভীরতা ছিল ৫০ কিলোমিটার। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
জাপানের ১ থেকে ৭ স্কেলের ভূমিকম্পের তীব্রতা স্কেলে আওমোরি প্রিফেকচারে এই কম্পনের মাত্রা উঠেছে ‘আপার ৬’। এত শক্তিশালী ভূমিকম্পে দাঁড়িয়ে থাকা বা হামাগুড়ি না দিয়ে চলাফেরা করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। এ ধরনের কম্পনে অধিকাংশ ভারী আসবাব উল্টে পড়ে এবং অনেক ভবনের দেয়ালের টাইলস ও জানালার কাচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
অঞ্চলটিতে তোহোকু ইলেকট্রিক পাওয়ার এবং হোক্কাইডো ইলেকট্রিক পাওয়ার পরিচালিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে কোনও অস্বাভাবিকতার খবর পাওয়া যায়নি বলে বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো জানিয়েছে। তবে তোহোকু ইলেকট্রিক জানিয়েছে, হাজার হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন।
জাপান বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্পপ্রবণ দেশগুলোর একটি। এখানে প্রতি পাঁচ মিনিট অন্তর অন্তত একবার কম্পন অনুভূত হয়।
ইস্ট জাপান রেলওয়ে এলাকাটিতে কয়েকটি ট্রেন চলাচল স্থগিত করেছে। ২০১১ সালের মার্চে এই অঞ্চলেই আঘাত হেনেছিল ৯.০ মাত্রার ভূমিকম্প।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় অববাহিকাকে আংশিকভাবে ঘিরে থাকা আগ্নেয়গিরি ও সামুদ্রিক ‘রিং অব ফায়ার’ অঞ্চলে অবস্থিত জাপানে বিশ্বের ৬.০ বা তার বেশি মাত্রার ভূমিকম্পের প্রায় ২০ শতাংশই ঘটে।
এম
আপনার মতামত লিখুন :