হামাসের সুড়ঙ্গ থেকে আরও তিন জিম্মির মরদেহ উদ্ধার

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ১৮, ২০২৪, ১২:২৩ পিএম
হামাসের সুড়ঙ্গ থেকে আরও তিন জিম্মির মরদেহ উদ্ধার

ঢাকা : ফিলিস্তিনি ছিটমহল গাজা থেকে তিন জিম্মির মৃতদেহ উদ্ধারের কথা জানিয়েছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) ।

যাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তাদের নাম শানি লৌক, অমিত বুশকিলা ও ইজহাক জেলারেন্টার বলে জানিয়েছে তারা। ৭ অক্টোবর হত্যা করার পর তাদের মৃতদেহ গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ ইসরায়েলি বাহিনীর।

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, হামাসের একটি টানেলে মৃতদেহগুলো পাওয়া গেছে।

গত বছরের অক্টোবরে হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে প্রায় ১২০০ জনকে হত্যা করে। এ সময় তারা আরও ২৫২ জনকে ধরে গাজায় নিয়ে জিম্মি করে রাখে।

তিন জিম্মির মৃতদেহ পাওয়ার খবরটিকে ‘হৃদয়বিদারক’ বলে অভিহিত করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

নেতানিয়াহু বলেছেন, আমরা আমাদের জীবিত ও মৃত, সব জিম্মিকে একইরকমভাবে ফিরিয়ে আনবো।

এক বিবৃতিতে আইডিএফ জানিয়েছে, রাতে চালানো এক অভিযানে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। গাজা থেকে যাদের ধরা হয়েছে তাদের ‘জিজ্ঞাসাবাদ করে’ পাওয়া তথ্যে ভিত্তিতে অভিযানটি চালানো হয়।

৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের যোদ্ধাদের হামলা চলাকালে নোভা নোভা উৎসবের মধ্যে এক চৌরাস্তার কাছে এই তিনজনকে হত্যা করা হয়েছিল বলে দাবি ইসরায়েলি বাহিনীর। তারা বলেছে, হত্যার পর নিহত এই তিনজনের লাশ গাজায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

বিবিসি জানিয়েছে, ওই নোভা উৎসবে ওইদিন ৩৬০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল। হামাসের যোদ্ধারা যাদের ধরে নিয়ে জিম্মি করে রেখেছিল তাদের প্রায় অর্ধেক মুক্তি পেলেও এখনও ১২৫ জিম্মির কোনো খোঁজ নেই, তারা হামাসের হাতে বন্দি আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তাদের মধ্যে কতোজন এখনও জীবিত আছেন তা পরিষ্কার নয়।

নভেম্বরে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে এক চুক্তির আলোকে এক সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতি চলার সময় ১০৫ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছিল হামাস। বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগার থেকে প্রায় ২৪০ জন ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পেয়েছিল।

আইডিএফের এই ঘোষণার পর হামাসের সশস্ত্র শাখা কামাস ব্রিগেডস বলেছে, তাদের হাতে থাকা বন্দিদের শুধু ‘আমাদের লোকজনের জন্য সম্মানজনক বিনিময় চুক্তির’ মাধ্যমে ফেরত পাঠানো হবে।

মিশরের রাজধানী কায়রোতে যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে দীর্ঘ সময় ধরে চলা আলোচনা এখন স্থবির হয়ে আছে।

৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর গাজায় ভয়াবহ আক্রমণ শুরু করে ইসরায়েল। তারপর থেকে প্রায় সাড়ে সাত মাস ধরে চলা তাদের নির্বিচার হামলায় গাজায় ৩৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এদের অধিকাংশই বেসামরিক, যাদের একটি বড় অংশ নারী ও শিশু।

এমটিআই

Link copied!