ইসরায়েলকে সহযোগিতার অভিযোগে ৩৩ জনের মৃত্যুদণ্ড দিল হামাস

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২৫, ০৯:১৯ এএম
ইসরায়েলকে সহযোগিতার অভিযোগে ৩৩ জনের মৃত্যুদণ্ড দিল হামাস

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির পর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠায় কঠোর অবস্থানে গেছে হামাস। গোষ্ঠীটির নিরাপত্তা শাখা গত কয়েক দিনে ইসরায়েলের সঙ্গে সহযোগিতার অভিযোগে অন্তত ৩৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে বলে জানিয়েছেন গাজার নিরাপত্তা কর্মকর্তারা।

বিভিন্ন নিরাপত্তা সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানায়।

হামাস বলছে, নিহত ব্যক্তিরা গোপনে ইসরায়েলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিল এবং যুদ্ধকালীন সময়ে হামাসের অবস্থান ফাঁস করে তাদের নিয়ন্ত্রণ দুর্বল করার চেষ্টা করেছিল। যদিও এসব ব্যক্তির নাম বা পরিচয় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলি বাহিনীর ভয়াবহ পাল্টা আক্রমণে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় গাজা ও সেখানে ক্ষমতাসীন হামাস।

তবে সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির সুযোগে গাজায় নিজেদের অবস্থান পুনঃগঠনে সক্রিয় হয়েছে হামাস। গাজার রাস্তায় তাদের যোদ্ধারা আবারও টহল দিচ্ছে, সন্দেহভাজন বিরোধী গোষ্ঠীগুলোর ওপর চালানো হচ্ছে দমন অভিযান।

গাজা সিটির এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, চলমান অভিযানে এ পর্যন্ত ৩৩ জন নিহত হয়েছেন এবং এই সংঘর্ষে হামাসেরও ছয়জন সদস্য নিহত হন।

রাফাহ অঞ্চলে হামাস-বিরোধী নেতা ইয়াসের আবু শাবাব ও তার অনুসারীদেরও লক্ষ্য করছে হামাস। দাবি করা হচ্ছে, আবু শাবাব গোপনে ইসরায়েলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন এবং হামাসের বিরুদ্ধে কাজ করতেন।

গাজার নিরাপত্তা সূত্র জানায়, হামাস সম্প্রতি আবু শাবাবের একজন ঘনিষ্ঠ সহযোগীকেও হত্যা করেছে। যদিও আবু শাবাব এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

সোমবার সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সবুজ ফিতা পরা বন্দুকধারীরা হাঁটু গেড়ে বসা কয়েকজনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করছে। ধারণা করা হচ্ছে, ঘটনাটি গাজা শহরে সংঘটিত হয়েছে। উপস্থিত জনতা নিহতদের 'ইসরায়েলের দালাল' বলে চিৎকার করে উল্লাস করে।

রয়টার্স ভিডিওটির স্বাধীনভাবে সত্যতা যাচাই করতে না পারলেও এটি হামাসের দমননীতি এবং জনসমর্থনের একটি খণ্ডচিত্র তুলে ধরে।

হামাস জানায়, তারা গাজায় কোনো নিরাপত্তা শূন্যতা সৃষ্টি হতে দেবে না এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিত করাই তাদের অগ্রাধিকার। গোষ্ঠীটির মিডিয়া প্রধান ইসমাইল আল-থাওয়াবতা বলেন, “আমরা গাজায় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”

তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে যদি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠিত হয়, হামাস তখন তাদের অস্ত্র সেই রাষ্ট্রের হাতে তুলে দিতে প্রস্তুত। তবে তিনি স্পষ্ট করে দেন, গাজার ভবিষ্যৎ শাসন কাঠামো নির্ধারণ করবে কেবল ফিলিস্তিনিরাই—কোনো বিদেশি নয়।

এম

Link copied!