সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যেই সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা থাইল্যান্ডের

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৬, ২০২৫, ০৯:৪৬ এএম
সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যেই সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা থাইল্যান্ডের

ফাইল ছবি

ঢাকা: থাইল্যান্ডের পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে বলে সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ঘোষণা দিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন। থাই প্রধানমন্ত্রী আনুতিন চার্নভিরাকুল গত সপ্তাহে সংসদ ভেঙে দেয়ায় নির্ধারিত সময়ের আগেই এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। 

সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সংসদের সবচেয়ে বড় দল বিরোধী পিপলস পার্টির সঙ্গে বিরোধের জেরে আনুতিন এই সিদ্ধান্ত নেন। রাজনৈতিক সংকটের মধ্যেই থাইল্যান্ড প্রতিবেশী দেশ কম্বোডিয়ার সঙ্গে সীমান্ত সংঘাতেও জড়িয়েছে, যা পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, থাইল্যান্ডের নাগরিকরা এই নির্বাচনে ৫০০ জন সংসদ সদস্য নির্বাচন করবেন। এর মধ্যে ৪০০ জন নির্বাচিত হবেন সরাসরি ভোটে এবং ১০০টি আসন বরাদ্দ থাকবে দলীয় তালিকার ভিত্তিতে।

প্রতিটি দল সর্বোচ্চ তিনজন প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী মনোনয়ন দিতে পারবে বলে জানা গেছে।

দেশটির নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ৯ এপ্রিলের মধ্যে ভোটের আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা করা হবে, এরপর ১৫ দিনের মধ্যে নতুন সংসদকে স্পিকার নির্বাচন এবং তারপর প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করতে হবে।

আনুতিন ২০২৩ সালের আগস্টের পর থেকে থাইল্যান্ডের তৃতীয় প্রধানমন্ত্রী। সংবিধান সংস্কারের প্রক্রিয়া শুরু করবেন এবং জানুয়ারির শেষ দিকে সংসদ ভেঙে দেবেন– এমন শর্তে গত সেপ্টেম্বর মাসে পিপলস পার্টির সমর্থনে প্রধানমন্ত্রী হন আনুতিন।

৬৯ বছর বয়সি আনুতিন একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিক। রয়টার্স বলছে, কম্বোডিয়ার সঙ্গে সীমান্ত সংঘাতের কারণে বর্তমানে থাইল্যান্ডে জাতীয়তাবাদী মনোভাব বেড়েছে, যা আনুতিনের জন্য রাজনৈতিকভাবে লাভজনক হতে পারে।

তবে বিভিন্ন জনমত জরিপ বলছে, পিপলস পার্টি থাইল্যান্ডের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সম্ভবত এটিই দেশটির একটি শক্তিশালী ফোর্স হতে পারে। দলটির আগের নাম ছিল মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি, যারা ২০২৩ সালের সবশেষ নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল

এসআই

Link copied!