মিশরে জরুরি অবস্থা ঘোষণা

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ১০, ২০১৭, ১০:৪১ এএম
মিশরে জরুরি অবস্থা ঘোষণা

ঢাকা: দেশটির তানতা ও আলেকজান্দ্রিয়ায় দুটি গির্জাতে বিস্ফোরণের পর প্রথমে সারাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলোর সুরক্ষার জন্য সেনা মোতায়েনের আদেশ দেন মিশরের প্রেসিডেন্ট আব্দুল ফাত্তাহ আল সিসি। এরপর  তিনমাসের জন্য জরুরি অবস্থা জারী করার ঘোষণা দেন। তবে প্রেসিডেন্টের এ পদক্ষেপের জন্য পার্লামেন্টে অনুমোদন প্রয়োজন হবে। যদিও পার্লামেন্টে প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা তার রয়েছে।

অপরদিকে গির্জায় ওই হামলার পর, এর দায় স্বীকার করেছে ইসলামপন্থী জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট। তারা দবি করে বলছে, সংখ্যালঘু এই খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ‘পাম সানডে’র অনুষ্ঠানে হামলাগুলো চালিয়েছে তাদের যোদ্ধারা। 

রোববার (৯ এপ্রিল) প্রথম বিস্ফোরণটি হয়, উত্তরাঞ্চলীয় তানতা শহরে সেন্ট জর্জ'স কপটিক চার্চে এবং তাতে অন্তত ২৭ জন নিহত হন, আহত হন সত্তর জনেরও বেশি মানুষ। তানতায় বিস্ফোরণ স্থলের বর্ণনা দিয়ে এক ব্যক্তি বলছিলেন যে এটা সকাল নটার দিকে। প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হচ্ছিলো এবং সবাই নিজের জায়গায় বসে ছিলো। আমি সামনের দিকে ছিলাম এবং হঠাৎ করে সব অন্ধকার হয়ে গেলো। আমি সরে গেলাম আর কয়েকজন আমাকে সিটের ওপরই ঠেলি দিলো।

কয়েক সেকেন্ড পর দেখি আমার চারপাশে কয়েকজন পড়ে আছে। চিৎকার শুনতে পাই। লোকজন বলছে বেরিয়ে আসো। তানতার হামলার ঘন্টাখানেক পরেই আলেকজান্দ্রিয়া শহরের আরেকটি গির্জায় দ্বিতীয় বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে, আত্মঘাতী ওই বোমা হামলায় একজন পুলিশ সদস্যসহ ১৫ জনেরও বেশি নিহত হয়েছেন।

পোপ ফ্রান্সিস এ হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তার আগামী মাসে মিশর সফরের কথা রয়েছে। হামলার পরপরই ন্যাশনাল ডিফেন্স কাউন্সিলের সাথে বৈঠকে বসেন প্রেসিডেন্ট সিসি।

এরপর শক্ত ভাষায় দেয়া ভাষণে তিনি জরুরি অবস্থা জারীর ঘোষণা দেন। জরুরি অবস্থার কারণে কর্তৃপক্ষ যে কোনো ব্যক্তিকে আটক ও যেকোনো স্থান তল্লাশির সুযোগ পাবে। মিশরের মোট জনগোষ্ঠীর দশ শতাংশ কপটিক খৃস্টান। গত ডিসেম্বর মাসে বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়েছিল কায়রোর কপটিক ক্যাথেড্রাল। বিবিসি

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা

Link copied!