ভারতে বন্যা-ভূমিধসে নিহত ৮ শতাধিক

  • আর্ন্তজাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০১৮, ০৯:৫২ পিএম
ভারতে বন্যা-ভূমিধসে নিহত ৮ শতাধিক

ঢাকা: চলতি বর্ষা মৌসুমে অতিবৃষ্টি, বন্যা এবং ভূমিধসে ভারতের সাতটি রাজ্যে অন্তত ৮৬৮ জন মানুষ মারা গেছে। এর মধ্যে কেরালা রাজ্যেই ২৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ আগস্ট) ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য দিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।

দেশটির জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলা কেন্দ্র জানায়, জানায়, এবারের বর্ষায় অতিবৃষ্টির ফলে সৃষ্ট দুর্যোগে উত্তরপ্রদেশে ১৯১ জন, পশ্চিম বাংলায় ১৮৩ জন, মহারাষ্ট্রে ১৩৯ জন, গুজরাটে ৫২ জন, আসামে ৪৫ জন এবং নাগাল্যান্ডে ১১ জন মারা গেছে।

জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলা বাহিনী (এনডিআরএফ) জানায়, কেরালা রাজ্যের ১৪ জেলায় অতিবর্ষণে ২ লাখ ১১ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সাড়ে ৩২ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। আসামে সাড়ে ১১ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং হয়েছে সাড়ে ২৭ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। সেখানে ৩৫৭ জন উদ্ধারকর্মী কাজ করছে। এছাড়া পশ্চিম বাংলায় ২ লাখ ২৭ হাজার লোক ক্ষতিগ্রস্ত এবং সাড়ে ৪৮ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। উত্তর প্রদেশে ১ লাখ ৭৪ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং প্রায় ৩৪ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে।

এনডিআরএফের নয়টি দল উত্তর প্রদেশে, আটটি পশ্চিম বাংলায়, সাতটি গুজরাট, চারটি মহারাষ্ট্র এবং একটি নাগাল্যান্ডে কাজ করছে।

শুক্রবার (১৭ আগস্ট) ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, দুর্গতদের হেলিকপ্টারে করে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হবে। বন্যায় দুর্গতদের উদ্ধারে বিশেষ অভিযান চালাচ্ছে উদ্ধারকর্মীরা। ইতিমধ্যে কেরালা রাজ্যে তিন সহস্রাধিক মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে।

কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই ভিজাইয়ান সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, পানিবন্দি মানুষদের নিরাপদে সরিয়ে আনতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত আসছে।

দেশটির আবহাওয়া বিভাগ সতর্ক সংকেত জানিয়েছে, আরো অতিবর্ষনের আশংকা রয়েছে। এদিকে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার মানুষ উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছে।

এদিকে শুক্রবার (১৭ আগস্ট) সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, তিনি কেরালার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। উদ্ধার অভিযান নিয়ে তাদের মাঝে বিস্তারিত কথা বলেছেন। হঠাৎ এ প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকারের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা দেয়ার আশ্বাস দেন।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Link copied!