ঢাকা : সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কর্মকর্তার তদন্ত প্রতিবেদনে এমনটা উঠে এসেছে।
রয়টার্স জানায়, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড সংক্রান্ত জাতিসংঘের স্পেশাল র্যাপোর্চার অ্যাগনেস কলামার্ডের সেই তদন্ত প্রতিবেদন সৌদি সরকারের কাছে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (১৯ জুন) তিনি জানান, যুবরাজ এবং সৌদি শীর্ষ কর্মকর্তারাই খাশোগি হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী। কলামার্ড বলেন, “খাশোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে জাতিসংঘের বিশেষ দূতের তদন্তের ইতি টানা হলো।”
তিনি বলেন, “খাশোগিকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। বিচারবহির্ভূত এই হত্যাকাণ্ডের জন্য আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনে সৌদি আরব অবশ্যই দোষী।”
গত ছয় মাস ধরে এ তদন্ত চালানো হয় তার পক্ষ থেকে। এ বছরের শুরুতে তিনি তুরস্কে যান। তার সঙ্গে ছিল ফরেনসিক ও আইনি বিশেষজ্ঞদের একটি দল। খাশোগি হত্যাকাণ্ডের সব ধরনের তথ্য প্রমাণ তাদের হাতে তুলে দেয় তুর্কি সরকার।
এদিকে ১০০ পৃষ্ঠার এই তদন্ত প্রতিবেদন রিয়াদে পাঠানো হলে এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া জানায়নি সৌদি সরকার। যদিও শুরু থেকে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে তারা।
সৌদি যুবরাজের কড়া সমালোচক হিসেবে পরিচিত ছিলেন জামাল খাশোগি। গত ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাস প্রবেশের পর নিখোঁজ হন ওয়াশিংটন পোস্টের এই কলামিস্ট।
তুরস্ক ও আন্তর্জাতিক মহলের চাপে পরবর্তীতে তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে স্বীকার করে নেয় সৌদি কর্তৃপক্ষ।
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে ওঠে আসে, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান জড়িত। তার নির্দেশেই খাশোগিকে হত্যা করা হয়। এমনকি তার দেহ কেটে ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করে ফেলা হয় এবং গোপন জায়গা তা সরিয়ে ফেলা হয় বলেও সে প্রতিবেদনে ওঠে আসে।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :