ঢাকা: ডায়াবেটিস বা হাই ব্লাড সুগারের রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। জীবনযাপন ও খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনের কারণে বেশির ভাগ মানুষই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন। একবার এই রোগ দেখা দিলে তা আর পুরোপুরি সারবে না। তীব্রতা কমাতে নিয়মিত চিকিৎসার প্রয়োজন।
জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন এনে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়। তবে উচ্চ রক্তে শর্করার লক্ষণগুলো উপেক্ষা করা খুব বিপজ্জনক। বিশেষ করে সকালের দিকে যে লক্ষণগুলো দেখা যায়, তা হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়।
হাই ব্লাড সুগারের লক্ষণ প্রাথমিক অবস্থায় শনাক্ত করা গেলে এবং যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করা গেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ এবং সুস্থ থাকা যায়।
রক্তে উচ্চ শর্করার লক্ষণগুলো কী? কিভাবে ম্যানেজ করবেন? তা জানাতেই আজকের প্রতিবেদন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক।
*শুষ্ক মুখ
সকালে রক্তে উচ্চমাত্রার শর্করার লক্ষণ শুষ্ক মুখ। সকালে ঘুম থেকে ওঠার সময় যদি আপনি মনে করেন যে আপনার গলা শুকনা এবং খুব তৃষ্ণার্ত বোধ হয়, তবে এটি উচ্চ রক্তচাপের লক্ষণ হতে পারে।
*দৃষ্টিশক্তি
ঘুম থেকে ওঠার পরপরই যদি দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে যায় তবে এটি উচ্চ রক্তে শর্করার সঙ্গে যুক্ত হতে পারে। ডায়াবেটিস সময়ের সঙ্গে সঙ্গে চোখকে প্রভাবিত করতে পারে।
*ক্লান্তি, দুর্বলতা
সারা রাত ঘুমালেও সকালে ক্লান্ত বা দুর্বল বোধ করতে পারেন। আপনি যদি উৎসাহী না হন, তাহলে আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে
*অন্যান্য লক্ষণ
ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া, অতিরিক্ত ক্ষুধা অনুভব করা, হাত কাঁপানো অনুভব করা ডায়াবেটিসের লক্ষণ।
সকালে ঘুম হওয়া মানেই রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়া।
*উচ্চ রক্তে শর্করা কেন বিপজ্জনক
ডায়াবেটিস ধীরে ধীরে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অংশ যেমন চোখ, কিডনি, স্নায়ু ও হৃদয়ের ক্ষতি করে। রক্তে শর্করার মাত্রায় হঠাৎ উত্থান ও হ্রাস গুরুতর সমস্যা তৈরি করতে পারে। এ জন্য প্রাথমিকভাবে লক্ষণগুলো সনাক্ত করা এবং চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত সতর্কতা অবলম্বন করা গুরুত্বপূর্ণ।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের উপায় কী
জীবনযাত্রার পরিবর্তনের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা যায়। শরীর ভালোভাবে কাজ করার জন্য সারা দিন প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। প্রতিদিনের রুটিনে হাঁটা বা ব্যায়াম যুক্ত করুন। ৩০ মিনিটের ব্যায়াম রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।
সঠিক সময়ে কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা ঘুমান। রাতে ভালো ঘুম রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার যেমন শাক-সবজি, গোটা শস্য, শিম খাওয়া উচিত। চিনিযুক্ত খাবার এবং পানীয় সম্পূর্ণরূপে এড়ানো উচিত। বাড়িতে রান্না করা খাবার খান। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন ডিম ও চর্বিহীন মাংস খান।
নিয়মিত আপনার রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করুন। ওষুধ বা চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ইউআর
আপনার মতামত লিখুন :