‘ফ্লাওয়ার ফেস্ট’

ফুল নিলে ফুলের মতো প্রাণ দিতে হয়

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ৩১, ২০১৭, ১০:৩৭ পিএম
ফুল নিলে ফুলের মতো প্রাণ দিতে হয়

ঢাকা: কবি বলেছিলেন, ‘ফুল নেয়া ভালো নয় মেয়ে, ফুল নিলে ফুল দিতে হয়, ফুলের মতো প্রাণ দিতে হয়’। তবু ফুল নিয়ে মানুষের উচ্ছ্বাসের শেষ নেই। কোথায় নেই ফুল? নানা আচার ও উৎসবে ফুলের ব্যবহার চলছে সেই আদিকাল থেকেই। বর্তমানে এর চাহিদা আরো বাড়ছে বৈ কমছে না।

ফুলের এই চাহিদা মেটাতে ফুল চাষ হচ্ছে বাণিজ্যিকভাবে। বৈচিত্র্যময় দেশি ফুলের সঙ্গে মানুষের পরিচয় বাড়ানো, ফুলের ব্যবহার বৃদ্ধি এবং ফুলের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আয়োজিত হলো ফুল উৎসবের।

দেশে উৎপাদিত নানা জাতের, নানা বর্ণের ফুল নিয়ে বাংলা একাডেমিতে শুরু হলো ‘বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার ফেস্ট।’ তিন দিনের এই ফুল উৎসবের আয়োজন করেছে ইনোভেশন অ্যান্ড ইনকিউভেশন সেন্টার ফর এন্টারপ্রাইজেস (আইআইসিই) ও বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটি। দ্বিতীয় বারের মতো আয়োজিত এ উৎসবের সহযোগিতায় রয়েছে ইউএসএআইডি, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটি ও দেশিফুল ডটকম।

বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) বিকেলে প্রধান অতিথি হিসেবে ফুল উৎসব উদ্বোধন করেন কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. মকবুল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মো. আনোয়ার ফারুক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক হামিদুর রহমান।

আয়োজকদের পক্ষে বক্তব্য দেন- ইনোভেশন অ্যান্ড ইনকিউভেশন সেন্টার ফর এন্টারপ্রাইজেস (আইআইসিই)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিয়াজউদ্দিন মোশাররফ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আবদুর রহিম। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সোসাইটির সহ-সভাপতি নাসের গণি চৌধুরী।

ফুল দিয়ে ঘর সাজানো

ইনোভেশন অ্যান্ড ইনকিউভেশন সেন্টার ফর এন্টারপ্রাইজেস (আইআইসিই)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিয়াজউদ্দিন মোশাররফ বলেন, গত বছর রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে দুই দিনব্যাপী ফ্লাওয়ার ফেস্ট আয়োজন করেছিলাম আমরা। সেখানে ব্যাপক সাড়া পেয়েছিলাম। মেলায় প্রায় ৩০ হাজার ফুলপ্রেমী এসেছিলেন। মানুষের ব্যাপক সাড়া পেয়ে আমরা এবার ব্যাপক পরিসরে এ মেলার আয়োজন করেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘মেলায় দর্শনার্থীদের জন্য প্রতিদিন বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হবে। শিশুদের জন্য প্রতিদিন সকালে থাকবে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। এছাড়া বাংলাদেশ ফটোগ্রাফি সোসাইটির সহযোগিতায় থাকছে ফুল নিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনী।’

ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি আবদুর রহিম বলেন, কিছুদিন আগেও শৌখিনতায় মানুষ বাড়ির আঙিনায় ফুলের গাছ রোপণ করত এবং পুজো-পার্বণেই ফুলের ব্যবহার করত। বর্তমানে তা পাল্টেছে। ফুল অর্থকরী ফসল হিসেবে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন ও বিপণন হচ্ছে। ১৯৮৩ সাল রজনীগন্ধা ফুল চাষের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে ফুল উৎপাদন শুরু হয়। বর্তমানে দেশে প্রায় ২৪টি জেলায় ১২ হাজার একর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে ফুল চাষ হচ্ছে। ফুল চাষ, বিপণন ও ফুল কেন্দ্রিক নানা কাজে সব মিলিয়ে প্রায় ২০ লাখ মানুষ এই সেক্টরের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। দেশে উৎপাতি হচ্ছে প্রায় ৮০০ কোটি টাকার ফুল।

সোনালীনিউজডটকম/এন

Link copied!