যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কিছু বিষয়ে ‘ঐকমত্য’, কিছু ‘অমীমাংসিত’

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ১২, ২০২৫, ০৯:২৬ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কিছু বিষয়ে ‘ঐকমত্য’, কিছু ‘অমীমাংসিত’

ঢাকা: দ্বিতীয় দফার বাণিজ্য আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কিছু বিষয়ে ‘ঐকমত্য’ হলেও কিছু বিষয় ‘অমীমাংসিত’ থেকে যাওয়ার কথা বলছে বাংলাদেশ।

শনিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উভয় দেশ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, আন্তঃমন্ত্রণালয় পর্যায়ে আলোচনা চলতে থাকবে। 

এরপর আবার দুই দেশের প্রতিনিধিরা বৈঠকে বসবেন, যা ভার্চুয়ালি অথবা সরাসরি-দুভাবেই হতে পারে। শিগগিরই সেই বৈঠকের সময় ও তারিখ নির্ধারণ করা হবে।

এতে আরও বলা হয় হয়, বাণিজ্য উপদেষ্টা, সচিব ও অতিরিক্ত সচিব শনিবার দেশে ফিরবেন। তবে প্রয়োজন হলে তারা আবার যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাবেন।

তিন দিনের আলোচনার পর বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন ও নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান আশা ব্যক্ত করেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে একটি ইতিবাচক সমঝোতায় পৌঁছানো সম্ভব হবে।

আলোচনায় বাংলাদেশ পক্ষে নেতৃত্ব দেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি তাতে অংশগ্রহণ করেন। আরও কয়েকজন সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞ ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

এই তিন দিনের বৈঠকের পুরো কার্যক্রম সমন্বয় করে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসির অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস।

দেশি শিল্পকে শক্ত অবস্থানে নিয়ে যাওয়ার যুক্তি দেখিয়ে গত ২ এপ্রিল শতাধিক দেশের ওপর চড়া হারে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। বাংলাদেশের ওপর বাড়তি ৩৭ শতাংশ শুল্কের ঘোষণা আসে।

বিশ্বজুড়ে নতুন এক বাণিজ্য যুদ্ধের সূত্রপাত করে মিত্র-শত্রু নির্বিচারে তার এ ব্যাপক শুল্কারোপ পরিচিতি পায় ট্রাম্প শুল্ক হিসেবে।

সেই শুল্কারোপের ঘোষণা বিশ্ব অর্থনীতিকে নাড়িয়ে দেওয়ার মধ্যে পরে নিজের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের সময় ৯ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করেন ডনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের উপর থেকে শুল্ক ও অশুল্ক বাধা উঠিয়ে দর কষাকষিতে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয় এই সময়ে।

তবে ৯ জুলাইয়ের দুদিন আগেই বাংলাদেশসহ ১৪ দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানকে চিঠি দিয়ে নতুন হারে শুল্কারোপের কথা বলেন ট্রাম্প। শেষ সময়ে চুক্তি করতে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা চালিয়েও কাজ হয়নি। সবার উদ্দেশ্যে একইভাষায় লেখা চিঠিতে বলা হয়, তার নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে ১ অগাস্ট থেকে।

ট্রাম্পের বেঁধে দেওয়া এই সময়ের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কেবল বাণিজ্য চুক্তি করতে পেরেছে যুক্তরাজ্য ও ভিয়েতনাম। ভারতের সঙ্গে একটি চুক্তির কাছাকাছি থাকার কথা বলেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।

এতদিন বাংলাদেশের পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কহার ছিল গড়ে ১৫ শতাংশ, এখন নতুন করে আরও ৩৫ শতাংশ শুল্ক বাড়ায় এটি দাঁড়াবে ৫০ শতাংশে।

এআর

Link copied!