ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে ১৪ নম্বর বেডে শুয়ে আছে তরুণী নিপা। বয়স মাত্র পঁচিশ। বয়সটা যেখানে স্বপ্ন দেখার, নিজের জীবনের গল্প গড়ার-সেই বয়সেই জীবন-মৃত্যুর মাঝখানে দাঁড়িয়ে লড়ছে বগুড়ার এই মেয়ে। শান্ত মুখ, গভীর দৃষ্টি; তবু কোথাও যেন লুকানো অসহায়তা। কথা বলতে গেলেই চোখ ভরে ওঠে পানিতে।
নিপার মাথায় ধরা পড়েছে জটিল ব্রেন টিউমার। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, দ্রুত অপারেশন করা না হলে মেয়েটিকে আর বাঁচানো সম্ভব হবে না। প্রয়োজন ৭ থেকে ১০ লাখ টাকা। কিন্তু এই টাকাটিই এখন তার জীবনের সবচেয়ে বড় বাধা।
নিপার বাবা নেই বহু বছর। কর্মহীন একা মা নিলুফা ইয়াসমিন মেয়েকে বাঁচাতে ছুটে বেড়াচ্ছেন। বারবার মেয়ের হাত ধরে বলছেন, ‘মা, কেমন লাগছে? একটু ধৈর্য ধরো।’ কিন্তু উত্তরে নিপার কণ্ঠ কেঁপে ওঠে-‘মা, আমি বাঁচতে চাই… তোমাকে দেখে রাখতে চাই…’
এই কথাটুকু বলতে বলতেই নিপার চোখ ভিজে যায়। মায়ের চোখও থেমে থাকে না। হাসপাতালে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলো শুধু দেখছে, এক মা আর মেয়ের জীবনের সঙ্গে লড়াইয়ের হৃদয়বিদারক দৃশ্য।
নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, ‘একটা মেয়ে আমার সব। ওকে যদি বাঁচাতে পারতাম কিন্তু এত টাকা কোথায় পাব? মানুষ যদি একটু সাহায্য করত, আমি মেয়েটাকে আগলে রাখতে পারতাম।’ কথার শেষে তাঁর গলা শুকিয়ে আসে।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, দ্রুত অস্ত্রোপচার করানো না গেলে অবস্থার আরও অবনতি ঘটবে। প্রতিটি মুহূর্ত যেন নিপার জীবনের শেষ সময়টুকুকে আরও কাছে টেনে আনছে।
নিপাকে বাঁচাতে এখন প্রয়োজন সবার ছোট্ট সহায়তা। একটি অল্প বয়সী মেয়ের জীবন, একটি অসহায় মায়ের দীর্ঘশ্বাস-সমাজের মিলিত হাতই হতে পারে তাদের শেষ আশ্রয়।
সহায়তার জন্য যোগাযোগ
নিলুফা ইয়াসমিন
ঠনঠনিয়া, বগুড়া সদর
বিকাশ নম্বর: ০১৩২৫-৫৫৮৮৬১
ইসলামী ব্যাংক, বগুড়া সদর শাখা
হিসাব নম্বর: ২০৫০১১২০২০৬২৯৫১১৫
এসএইচ
আপনার মতামত লিখুন :