১৪ দিনের ‘পূর্ণ লকডাউন’ চায় কোভিড কমিটি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ৯, ২০২১, ০৭:৩৪ পিএম
১৪ দিনের ‘পূর্ণ লকডাউন’ চায় কোভিড কমিটি

ঢাকা : মহামারি করোনা (কোভিড-১৯) মোকাবিলায় দেশের সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভা এলাকায় অন্তত দুই সপ্তাহ পূর্ণ লকডাউনের সুপারিশ করা হয়েছে।

শুক্রবার (৯ এপ্রিল) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কোভিড-১৯ মোকাবেলায় জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি এ তথ্য জানিয়েছে।

এর আগে, বুধবার রাতে কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ৩০তম সভায় এমন কথা উঠে আসে।

কমিটির সুপারিশ বলা হয়েছে, অন্তত দুই সপ্তাহের জন্য পূর্ণ লকডাউন ছাড়া করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। বিশেষ করে সিটি কর্পোরেশন এবং পৌরসভা এলাকায় দুই সপ্তাহ পূর্ণ লকডাউন রাখতে হবে। দুই সপ্তাহ পর সংক্রমণ হার বিবেচনা করে নতুন সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে।

এতে আরো বলা হয়, সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত ১৮টি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকেও করোনা নিয়ন্ত্রণে বিধিনিষেধ দেয়া হয়। 

সরকারের নির্দেশনা সঠিকভাবে মানা হচ্ছে না। তাই সংক্রমণের হারও বাড়ছে। সুপারিশে বিধিনিষেধ আরো শক্তভাবে অনুসরণ করতেও বলা হয়েছে।

‘কঠোর লকডাউনে’ বন্ধ থাকবে অফিস, মার্কেট, যানবাহন : আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য ‘কঠোর লকডাউন’ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। এ সময় জরুরি সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব অফিস বন্ধ থাকবে বলে জানান তিনিন। 

শুক্রবার (৯ এপ্রিল) তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে এবার কঠোর লকডাউনে যাচ্ছে সরকার। সংক্রমণ রোধে সবাইকে এর আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে। ১৪ এপ্রিল থেকে সাত দিনের জন্য এই লকডাউন দেওয়া হবে। জরুরি সেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব অফিস বন্ধ থাকবে।

রোববারের মধ্যে ‘কঠোর লকডাউনের’ প্রজ্ঞাপন জারির পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

এর আগে ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ দেওয়ার পরিকল্পনা হচ্ছে নিজের সরকারি বাসভবন থেকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এক সংবাদ সম্মেলনে জানান।

তিনি বলেন, দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এক ভয়াবহ রূপ নিয়েছে, লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার, সঙ্গে বাড়ছে জনগণের অবহেলা ও উদাসীনতা। এমতাবস্থায় চলমান এক সপ্তাহের লকডাউনে জনগণের উদাসীন মানসিকতার কোন পরিবর্তন না হওয়ায়, সরকার জনস্বার্থে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য সর্বাত্মক লকডাউনের বিষয়ে সক্রিয় চিন্তা-ভাবনা করছে।

করোনাভাইরাসের প্রকোপ দিন দিন বাড়তে থাকায় ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত সারাদেশে শপিং মল, দোকান-পাট, হোটেল-রেস্তারাঁসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল।

বুধবার থেকে সিটি করপোরেশন এলাকায় সকাল-সন্ধ্যা গণপরিবহন সেবা চালু রাখার সিদ্ধান্ত দেয় সরকার।

গত রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে ১১ দফা নিষেধাজ্ঞায় সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত, ব্যাংক জরুরি প্রয়োজনে সীমিত পরিসরে খোলা রাখার সুযোগ দেওয়া হয়।

এদিকে পহেলা বৈশাখ ও রোজার আগে দোকান-পাট খুলতে কয়েকদিন ধরেই বিক্ষোভ চালিয়ে আসছিলেন দোকান মালিক ও কর্মচারীর।

দাবির মুখে বৃহস্পতিবার ‘কঠোর স্বাস্থ্যবিধি’ প্রতিপালনসাপেক্ষে লকডাউনের মধ্যেও দোকানপাট ও শপিংমলও খোলা রাখার সিদ্ধান্ত দেয় সরকার।

৯ এপ্রিল থেকে ১৩ এপ্রিল সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখা যাবে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Link copied!