তবুও এল খুশির ঈদ

কোলাকুলি-করমর্দন করা যাবে না

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ১৪, ২০২১, ০৭:৪২ এএম
কোলাকুলি-করমর্দন করা যাবে না

ঢাকা : আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর। এবারও ভিন্ন আবহে ঈদ উদযাপিত হবে বিশ্বব্যাপী। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে এবারও নামাজে কিছু বিধিনিষেধ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয় ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

ইসলামী শরীয়তে ঈদের জামাত ঈদগাহ বা খোলা জায়গায় আদায়ের ব্যাপারে উৎসাহিত করা হলেও বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে মসজিদে আদায় করার জন্য অনুরোধ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিক জামাত করা যাবে। এছাড়া ঈদগাহে কোলাকুলি, করমর্দন করা থেকে বিরত থাকাসহ নামাজ আদায়ে ১২ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা পরিপত্রে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করার ক্ষেত্রে যথাযথ সুরক্ষা নিশ্চিত করা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা অতি জরুরি।

এরইমধ্যে মসজিদে নামাজ আদায়ে কতিপয় নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবজনিত কারণে সারাদেশে জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ জারি করা নির্দেশনা বিশেষ সতর্কতামূলক বিষয় অনুসরণ করে নিম্নবর্ণিত শর্তসাপেক্ষে ১৪৪২ হিজরি সালের পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত আদায়ের জন্য অনুরোধ করা হলো।

তবুও এল খুশির ঈদ  : আজ পবিত্র ঈদুল ফিতর। ৩০ দিন সিয়াম সাধনার পর মুসলিম সম্প্রদায় ঈদ উদ্‌যাপন করবে। সবাইকে ঈদ মোবারক।

এবারও ঈদ উদ্‌যাপিত হচ্ছে মহামারি করোনার সংক্রমণ পরিস্থিতিতে। তারপরও ঈদের খুশিকে সম্বল করতে চাইছে মানুষ।

এবারের ঈদের মূল শুভেচ্ছা বিনিময়ের উপায় সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম। সেখানেই চলছে পারস্পরিক শুভেচ্ছা বিনিময়।

অনিশ্চিত ভবিষ্যতের আশঙ্কাকে ভুলে যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ পাচ্ছে সবার মাঝে। অনেকেই যেতে পারেননি গ্রামের বাড়ি, প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে। সাধারণ ছুটি, লকডাউন, গণপরিবহনসহ ব্যবসা-বাণিজ্যে ভাটা পড়ায় ঈদের চেনারূপ নেই। আনন্দ-উচ্ছ্বাস থাকার কথা তা এবার ম্লান করে দিয়েছে মহামারি করোনাভাইরাস।

করোনা মোকাবিলায় ও সংক্রমণ বিস্তার রোধে সরকারের নির্দেশনায় এবার খোলা মাঠে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। ঈদ জামাত হবে মসজিদের ভেতরে শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে।

এবার হাইকোর্ট সংলগ্ন জাতীয় ঈদগাহে ঈদের জামাত হচ্ছে না। হচ্ছে না শত বছরের ঐতিহ্য ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ময়দানের ঈদ জামাতও।

বায়তুল মোকাররমে প্রথম জামাত হবে সকাল ৭টায়। ইমামতি করবেন মুফতি মিজানুর রহমান, দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টায়, ইমাম মুফতি মুহিববুল্লাহিল বাকী নদভী, তৃতীয় জামাত হবে সকাল ৯টায়, এ জামাতের ইমামতি করবেন মাওলানা এহসানুল হক, চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায়, এ জামাতে ইমামতি করবেন মাওলানা মহিউদ্দিন কাসেম এবং পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত সকাল পৌনে ১১টায়, এই জামাতের ইমামতি করবেন মাওলানা ওয়ালিয়ূর রহমান খান।

৫টি জামাতে কোনো ইমাম অনুপস্থিত থাকলে বিকল্প ইমাম হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন মাওলানা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।

বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ২৬ এপ্রিল জারীকৃত বিজ্ঞপ্তি অনুসরণ করে যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে মসজিদের ইমাম-খতিব, মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটি, ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ও সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

এছাড়া গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ভোগান্তি নিয়েও ঈদে আপনজনের পাশে থাকতে গ্রামে ছুটে গেছেন অনেকে। আর রাজধানীসহ দেশের অন্যান্য শপিংমল, মার্কেট, ফুটপাতে গভীর রাত পর্যন্ত চলেছে কেনাকাটা। এত কিছুর মাঝেও মুসলিম বিশ্বের ন্যায় ফিলিস্তিনিদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশের মানুষ। কারণ ঈদের দিনেও গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান হামলা হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত ৮৪ জন ফিলিস্তিনি মারা গেছেন।

এদিকে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান।

আর জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলো ঈদ সংখ্যা ছাড়াও বিশেষ ক্রোড়পত্র বের করেছে। সরকারি ও বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচারিত হচ্ছে বিশেষ অনুষ্ঠান।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Link copied!