সমুদ্র সীমায় শৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের নৌ বহরে যুক্ত হচ্ছে অত্যাধুনিক আরো দুটি জাহাজ। যন্ত্র ও সরঞ্জামসহ জাহাজ দুটি বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করেছে ইতালীয় নৌবাহিনী। অফশোর প্যাট্রোল ভেসেল সিজিএস সৈয়দ নজরুল এবং সিজিএস তাজউদ্দীন নামের জাহাজ দুটি শিগগিরই দেশের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে। সোমবার (৮ আগস্ট) বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সদর দফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ইতালির লা স্পেজিয়া বন্দরে ৪ আগস্ট নতুন রিফারবিশ অফশোর প্যাট্রোল ভেসেল সিজিএস সৈয়দ নজরুল এবং সিজিএস তাজউদ্দীন আনুষ্ঠানিকভাবে কোস্ট গার্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়। হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের সিনিয়র স্বরাষ্ট্রসচিব ড. মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক খান।
এছাড়া কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার এডমিরাল এএমএমএম আওরঙ্গজেব চৌধুরী, ইতালিতে বাংলাদেশ দূতাবাসের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স রফিকুল আলম এবং ইতালিয়ান নৌবাহিনীর সহকারী নৌবাহিনী প্রধানসহ (লজিস্টিকস) সংশি¬ষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কোস্ট গার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালক (গোয়েন্দা) কমান্ডার জোয়ারদার মোহাম্মদ হোসনে কামিল আলম জানান, ইতালী নৌবাহিনীর কাছ থেকে কেনা জাহাজ দু’টিতে বিদ্যমান ইতালিয়ান নৌবাহিনীর যন্ত্র ও সরঞ্জামাদির পাশাপাশি আধুনিক ও উপযোগী বিভিন্ন ধরণের যন্ত্র ও সরঞ্জামাদি যুক্ত হয়েছে।
প্রশাসনিক প্রক্রিয়া ও প্রশিক্ষণ শেষ করে জাহাজ দুটি শিগগিরই বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে বলে আশা করা যায়। জাহাজ দুটি কোস্ট গার্ড নৌ বহরে যুক্ত হলে সমুদ্র সীমায় শৃঙ্খলা রক্ষা ও সামগ্রিক অর্থনীতিতে অবদান রাখতে সক্ষম হবে বলেও মনে করেন তিনি।
৮৭ মিটার দৈর্ঘের ১২শ টন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন জাহাজ দু’টি ঘন্টায় সর্বোচ্চ ২৩ নটিক্যাল মাইল বেগে চলতে সক্ষম। এমনকি একাধারে সাড়ে তিন হাজার নটিক্যাল মাইল অতিক্রম করতে পারে। জাহাজ দু’টি বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের স্বাভাবিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি গভীর সমুদ্রে টহল পরিচালনা, সমুদ্র দূষণ নিয়ন্ত্রণ, মানব পাচার প্রতিরোধ, অন্য জাহাজকে অগ্নি নির্বাপণী সহায়তা প্রদান, উদ্ধার অভিযানসহ নানাবিধ উপকূলবর্তী ও সামুদ্রিক দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মোকাবেলায় সক্ষম।
সমুদ্র সীমায় নিরাপত্তা রক্ষায় বর্তমানে কোস্ট গার্ডের বহরে ১২টি জাহাজ রয়েছে। ইতালী নৌবাহিনীর কাছ থেকে কেনা নতুন জাহাজ দুটি নিয়ে এর সংখ্যা দাঁড়াবে ১৪টিতে।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :