লাইভে সার্টিফিকেট পোড়ানো সেই তরুণী পেলো চাকরি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক  | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ২৯, ২০২৩, ০৬:২৫ পিএম
লাইভে সার্টিফিকেট পোড়ানো সেই তরুণী পেলো চাকরি

ঢাকা: মুক্তা সুলতানা ২০১৯ সালে রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন কিন্তু তার চাকরি মিলছিল না। সেই হতাশার মধ্যে তিনি তার অর্জিত সমস্ত সনদ পুড়িয়ে দিয়েছেন। সেই মুক্তাকে চাকরি দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। তার পদের বেতন ৩৫ হাজার টাকা।

প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তাকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব সিকিউরড ইমেইল ফর গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার’ প্রজেক্টে ‘কন্টেন্ট ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল কমিউনিকেশন অফিসার’ পদে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন। এ পদে তার বেতন ৩৫ হাজার টাকা।

আইসিটি বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা শহিদুল আলম মজুমদার জানান, কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদি উপজেলার বনগ্রামের মুক্তা সুলতানা রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজ থেকে ২০১৯ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। হতাশাগ্রস্ত হয়ে গত ২৩ মে ফেসবুক লাইভে এসে ২৭ বছরের অর্জিত সব একাডেমিক সার্টিফিকেট পুড়িয়ে ফেলেন। বিষয়টি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের মাধ্যমে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের দৃষ্টিগোচর হয়। প্রতিমন্ত্রী মুক্তা সুলতানার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং তার দপ্তরে আসার জন্য অনুরোধ জানান।

চাকরি পেয়ে মুক্তা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সহানুভূতির কারণে আমার চাকরি হয়েছে। আমি তার প্রতি কৃতজ্ঞ। একজন প্রতিমন্ত্রী ফেসবুক ভিডিও দেখে নাগরিকের ক্ষোভ-দুঃখ হতাশা দূর করতে তাকে খুঁজে এনে ব্যক্তিগত উদ্যোগে চাকরির ব্যবস্থা করবেন, তা এখনও তার কাছে বিস্ময়ের বলে মন্তব্য করেন তিনি।

পলক বলেন, দেশের মেধাবী তরুণ-তরুণীরা যেন হতাশাগ্ৰস্ত না হয় এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে যেতে পারে সেজন্য আইসিটি বিভাগ থেকে প্রশিক্ষণসহ বিভিন্নভাবে সহায়তা দিচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, যথাযথ শিক্ষাগ্রহণ করলে বাংলাদেশে কোনো শিক্ষিত তরুণ-তরুণী বেকার থাকবে না। তারুণ্যের মেধা ও প্রযুক্তির শক্তিকে কাজে লাগিয়ে দিয়ে নিজেকে তৈরি করতে পারলে চাকরির পেছনে ঘুরতে হবে না। বরং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র সৃষ্টি করবে। আইসিটি বিভাগ তরুণ-তরুণীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে বলেও তিনি জানান।

এ সময় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক রণজিৎ কুমার এবং ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব সিকিউরড ইমেইল ফর গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার’ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সাইফুল আলম খান উপস্থিত ছিলেন।

সোনালীনিউজ/এম

Link copied!