এমভি আবদুল্লাহ থেকে ভিডিও কলে যে বার্তা দিলেন চিফ ইঞ্জিনিয়ার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ১৭, ২০২৪, ০৯:৫৭ এএম
এমভি আবদুল্লাহ থেকে ভিডিও কলে যে বার্তা দিলেন চিফ ইঞ্জিনিয়ার

ঢাকা : এমভি আবদুল্লাহ এখনো সোমালিয় দস্যুদের আওতাধীন এলাকায় রয়েছে।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) জাহাজটি সোমালিয় দস্যুদের আওতাধীন এলাকা থেকে এডেন উপসাগরে পৌঁছাবে। সেখান থেকে ওমান হয়ে দুবাই পৌঁছাবে জাহাজটি। জাহাজের সকল নাবিক সুস্থ আছে এবং জাহাজের সকল যন্ত্রাংশ সচল রয়েছে। জাহাজটি পরিচালনা করতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না বলে জাহাজের চিফ ইঞ্জিনিয়ার সাইদুজ্জামান মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) এক ভিডিওবার্তায় এসব কথা বলেন।

ভিডিও বার্তায় দেখা যায়, তিনি ইঞ্জিনরুমে বসে জাহাজটির বর্ণনা দেন। একই সাথে দস্যুদের কাছ থেকে মুক্তি পাওয়ায় সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

অপর এক ভিডিও বার্তায় ম্যাপে জাহাজের অবস্থান দেখিয়ে বলা হয়, জাহাজটি আজ মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত সোমালিয় জলদস্যুদের আওতাধীন এলাকায় রয়েছে। গত ১৪ এপ্রিল মুক্তি পাওয়ার পর জাহাজটি দুবাই অভিমুখী চালানোর পর আরো ১০০ নটিক্যাল মাইল অতিক্রম করলে দস্যুদের আওতাধীন এলাকা পার হওয়া যাবে। একই ভিডিওতে বলা হয় আগামী ২২ এপ্রিল জাহাজটি দুবাইতে পৌঁছাবে।

এ বিষয়টি নিশ্চিত করে জাহাজ মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্ঠা মিজানুল ইসলাম দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘জাহাজটি এখন সঠিক কার্যকরিতায় রয়েছে এবং আগামী ২২ এপ্রিল দুবাই পৌঁছাবে।’

আগে বলা হয়েছিল ১৯ বা ২০ এপ্রিল পৌঁছাবে— এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তখন তো জাহাজ না চালিয়ে অনুমানের উপর ভিত্তি করে বলা হয়েছিল। এখন জাহাজ দুই দিন চালানোর পর দূরত্ব অনুযায়ী কবে পৌঁছাবে তা নির্ধারণ করা গেছে।

এদিকে এর আগে গত ১৪ এপ্রিল ভোর ৩টায় সোমালিয় দস্যুদের কাছ থেকে মুক্তি পায় এমভি আবদুল্লাহ ও ২৩ নাবিক। দস্যুদের ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মুক্তিপণ হিসেবে দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। তিনটি ওয়াটার প্রুফ লাগেজে উড়োজাহাজের মাধ্যমে এগুলো পানিতে ফেলা হয়। ডলার গণনার পর নিশ্চিত হয়েই জাহাজ ছেড়ে যায় ৬৫ জন জলদস্যু।

উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে সোমালিয়ার রাজধানী মোগাদিসু থেকে প্রায় ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগর থেকে এমভি আবদুল্লাহর সেকেন্ড অফিসার মোজাহেদুল ইসলাম চৌধুরীকে প্রথম অস্ত্র ঠেকিয়েছিল সোমালিয় জলদস্যুরা। জহাজটি মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাই যাচ্ছিল। জাহাজটি ছিনতাইয়ের পর সোমালিয়ার উত্ত-পূর্ব উপকূলের গ্যারাকাদে নোঙ্গর করে। এখনো একই এলাকায় অবস্থান করছে। জাহাজ থেকে নাবিকদের উদ্ধারে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ব্রিটিশ রয়েল নেভি এবং ভারতীয় নৌ বাহিনী অভিযান চালানোর অভিপ্রায় ব্যক্ত করলেও জাহাজ মালিক ও বাংলাদেশ সরকার অভিযানের অনুমোদন দেয়নি। রক্তপাতহীন জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করতেই মালিক পক্ষের কাছ থেকে অভিযানের অনুমোদন দেয়া হয়নি। এর আগে একই মালিক গ্রুপের এমভি জাহান মনিকে ২০১০ সালে জিম্মি করেছিল একই গ্রুপের জলদস্যুরা। সেবারও মুক্তিপণ দিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়। সোমালিয়ান জলদস্যুরা ২০১৬ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ৮টি জাহাজ জিম্মি করেছিল। এর আগে ২০০৯ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে জিম্মি করেছিল ৩৫৮টি জাহাজ।

এমটিআই

Link copied!