শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুলের হামলায় গুরুত্বর আহত সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা বেগম নার্গিসের হাতে অস্ত্রোপচারের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন স্কয়ার হাসপাতালের মেডিসিন অ্যান্ড ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগের পরামর্শক মির্জা নাজিম উদ্দিন।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) মির্জা নাজিম উদ্দিন বলেন, আঘাত ঠেকানোর সময় খাদিজার হাতের ‘মাসল চেইন’ কেটে যাওয়ায় অস্ত্রোপচার করতেই হবে। সেজন্য সোমবার (১৬ অক্টোবর) খাদিজার হাতে অস্ত্রোপচার করার পরিকল্পপনা করা হচ্ছে।
এদিকে হাতে অস্ত্রোপচারের জন্য আবারও তাকে লাইফ সাপোর্ট দিতে হবে ভেবে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন স্বজনরা।
খাদিজার মামা আব্দুল বাসেত বলেন, হাতে অপারেশন করতে হলে আবার তাকে লাইফ সাপোর্ট দেয়া লাগবে; তাই আমরা শঙ্কিত। তবে খাদিজা পুরো ফিট হলেই কেবল অস্ত্রোপচার করা হবে, চিকিৎসকরা এমন নিশ্চয়তা দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, শনিবার (১৫ অক্টোবর) সকালে দেখতে গিয়েছিলাম ওকে, ডাক দিলে চোখ মেলে তাকাচ্ছে, কিন্তু কাউকে চিনতে পারছেনা।”
চিকিৎসক নাজিম বলেন, এই অস্ত্রোপচারে ঝুঁকি নেই। তবে অস্ত্রোপচার ‘সফল হবেই’ এর নিশ্চয়তা কখনই দেয়া যায় না। তবে খাদিজা চিকিৎসায় ভাল সাড়া দিচ্ছে।
তিনি বলেন, অবস্থার উন্নতি হবে আস্তে আস্তে, খাদিজার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে এমন আশার কথাই জানান এই চিকিৎসক।
উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর এমসি কলেজ কেন্দ্রে স্নাতক পরীক্ষা শেষে বের হয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম ধারালো অস্ত্রের হামলার শিকার হন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী খাদিজা। বদরুলের এলোপাতাড়ি কোপে খাদিজার খুলি ভেদ করে তার মস্তিষ্কও জখম হয়। হামলার পর গত ৪ অক্টোবর বিকালে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে খাদিজার অস্ত্রোপচার হয়। তখন থেকে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন খাদিজা। ধীরে ধীরে অবস্থার উন্নতি হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) তার লাইফ সাপোর্ট খোলা হয়।শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) বেলা ১১টায় খাদিজাকে দেখতে স্বজনরা আইসিইউতে গেলে খাদিজা হাত নাড়াচাড়া করেছে। এ সময় তাদের দেখে খাদিজার চোখে পানি চলে আসে। তবে খাদিজা এখনো কথা বলতে পারেনি।
সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম
আপনার মতামত লিখুন :