ফাইল ছবি
জাতীয় বেতন কমিশন আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পে-স্কেলের সুপারিশ জমা দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। এরপর ১৫ ডিসেম্বরের আগেই অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে নবম জাতীয় বেতন স্কেলের গেজেট প্রকাশের লক্ষ্য রয়েছে। এই তথ্য জানিয়েছেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের (বসকপ) সভাপতি বাদিউল কবির।
জাতীয় বেতন কমিশনের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খানের সঙ্গে বৈঠক শেষে বাদিউল কবির জানিয়েছেন, ‘বেতন গ্রেড কমিয়ে আনা, ৩০ নভেম্বরের মধ্যে কমিশনের সুপারিশ জমা এবং ১৫ ডিসেম্বরের আগে গেজেট প্রকাশ-এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কমিশন বিষয়গুলোকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে।’
নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণের জন্য জাতীয় বেতন কমিশন গঠিত হয় গত ২৭ জুলাই। এরপর ১ থেকে ১৫ অক্টোবর নাগরিক, সরকারি চাকরিজীবী, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন সমিতির মধ্যে অনলাইনে প্রশ্নমালার মাধ্যমে মতামত সংগ্রহ করা হয়। এছাড়া ২৪ নভেম্বর কমিশন সচিবদের সঙ্গে বৈঠক করে।
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, ‘পে কমিশনের জন্য আলাদা একটি কমিশন কাজ করছে। তিনটি রিপোর্ট যাচাই-বাছাইয়ের পরই সুপারিশ দেওয়া হবে। বর্তমান সরকার ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করবে, পরবর্তী সরকার বাস্তবায়ন করবে। গত ৮ বছরে এ বিষয়ে কিছু হয়নি, তাই আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। বাজেট ও অন্যান্য সামাজিক খাতকেও বিবেচনায় নিতে হবে।’
বসকপসহ বিভিন্ন কর্মচারী সংগঠন কমিশনকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সুপারিশ জমা দিতে আলটিমেটাম দিয়েছে। সময়মতো সুপারিশ না দিলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও উচ্চারণ করা হয়েছে। ৫ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশের মাধ্যমে পে স্কেল বাস্তবায়নের দাবি আরও জোরদার করা হবে।
এবারের পে কমিশনের সিদ্ধান্ত সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য দীর্ঘদিনের অপেক্ষিত দাবি পূরণের সম্ভাবনা তৈরি করছে। তবে বাজেট এবং অন্যান্য প্রশাসনিক বিষয় বিবেচনায় নিয়ে কার্যক্রমের সঠিক বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
এসএইচ
আপনার মতামত লিখুন :