স্মার্ট কার্ড সংকটে ভোগান্তি চরমে, লাইসেন্স পাচ্ছেন না ১১ লাখ চালক

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৯, ২০২৫, ১০:৩২ এএম
স্মার্ট কার্ড সংকটে ভোগান্তি চরমে, লাইসেন্স পাচ্ছেন না ১১ লাখ চালক

দেশে স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স সরবরাহে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া সত্ত্বেও ঢাকাসহ সারাদেশের অন্তত ১১ লাখ পেশাদার ও অপেশাদার চালক স্মার্ট কার্ড হাতে পাচ্ছেন না। চার মাস ধরে ড্রাইভিং লাইসেন্স মুদ্রণ সম্পূর্ণ বন্ধ। কারণ—বিআরটিএ এখনো নতুন ঠিকাদার নিয়োগ দিতে পারেনি।

বিআরটিএ সূত্র জানায়, সর্বশেষ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্সের (এমএসপি) সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে ২৮ জুলাই। ওই দিন থেকে স্মার্ট কার্ড উৎপাদন বন্ধ।

গত নভেম্বর পর্যন্ত ১১ লাখ লাইসেন্স জমা পড়ে আছে এবং ডিসেম্বর শেষে তা ১২ লাখ ছাড়িয়ে যেতে পারে।

২০২০ সালের জুলাই থেকে পাঁচ বছরের জন্য এমএসপি স্মার্ট কার্ড সরবরাহের দায়িত্ব পায়। চুক্তি অনুযায়ী ৪০ লাখ কার্ড উৎপাদনের কথা থাকলেও সরবরাহ হয়েছে প্রায় ২৬ লাখ। বাকি প্রায় সাত লাখ লাইসেন্স তারা মুদ্রণই করতে পারেনি। প্রতিদিন আট হাজার কার্ড সরবরাহের যে লক্ষ্য ছিল, প্রতিষ্ঠানটি কখনোই তা পূরণ করতে পারেনি।

এর আগে টাইগার আইটি এই প্রকল্পে যুক্ত ছিল। তবে বিশ্বব্যাংকের কালো তালিকায় নাম আসায় তাদের সঙ্গে চুক্তি বাতিল হয় ২০১৯ সালে। এরপর সার্ভার ও ডেটা হস্তান্তরে প্রতিষ্ঠানটি গড়িমসি করায় প্রায় ১২ লাখেরও বেশি লাইসেন্স আবেদন ঝুলে পড়ে।

স্মার্ট কার্ড না থাকায় বহু চালক বিদেশে চাকরির সুযোগ পেয়েও যেতে পারছেন না। বনানীর বিআরটিএ কার্যালয়ে প্রতিদিনই লাইসেন্সের আশায় ভিড় করছেন শত শত আবেদনকারী।

সংকট দূর করতে সরকার ২০২৩ সালের আগস্টে ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স চালু করে। কিন্তু পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট অনেক সংস্থা এখনো এটিকে সম্পূর্ণ গ্রহণযোগ্য হিসেবে মানছে না। ফলে বৈধ কাগজ থাকা সত্ত্বেও রাস্তায় সমস্যায় পড়ছেন অসংখ্য চালক।

বিআরটিএর পরিচালক (প্রকৌশল) মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ জানান,  এক সপ্তাহের মধ্যেই নতুন দরপত্র আহ্বান করা হবে। বিদেশগামীদের জরুরি স্মার্ট কার্ড আমরা নিজেরাই প্রিন্ট করছি। সরকারের নির্দেশনায় ই-লাইসেন্সও কার্যকর আছে এবং তা সব জায়গায় গ্রহণযোগ্য হওয়ার কথা।

এম

Link copied!