৫০ শতাংশ ঝুঁকি ভাতা চায় দুদক

  • বিশেষ প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ১, ২০১৭, ০২:১৪ পিএম
৫০ শতাংশ ঝুঁকি ভাতা চায় দুদক

ঢাকা : মূল বেতনের সঙ্গে আরো ৫০ শতাংশ ঝুঁকি ভাতা হিসেবে চান দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তারা। গত দুই সপ্তাহ আগে দুদক থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মচারীদের ধরায় ঝুঁকি রয়েছে’। এ কারণেই তারা সরকারের কাছে আগামী অর্থবছর থেকেই এই ঝুঁকি ভাতার দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে দুদক সচিব আবু মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল বলেন, ২০১৪ সালের শেষের দিকে ঝুঁকি ভাতা-সংক্রান্ত একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সে উদ্যোগ আলোর মুখ দেখেনি। সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সে দাবিটির যৌক্তিকতা দেখা দিয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার সদস্যদের ঝুঁকি ভাতা দেওয়া হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, এলিট ফোর্সখ্যাত র‌্যাব তাদের মূল বেতনের ৭০ শতাংশ ঝুঁকি ভাতা পাচ্ছে। অন্যদিকে জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা, পুলিশ, বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপিসহ আরো কয়েকটি সংস্থার কর্মকর্তারা তাদের মূল বেতনের ৩০ শতাংশ ঝুঁকি ভাতা হিসেবে পাচ্ছেন। তাই দুদক কর্মকর্তাদেরও ঝুঁকি ভাতা দেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

মন্ত্রিপরিষদে পাঠানো দুদকের চিঠিতে আরো বলা হয়, সরকার দুদকে কর্মরতদের জন্য ৩০ কোটি ৮০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এর মধ্যে ২৯ কোটি ৫৮ লাখ টাকা চেয়ারম্যান ও অন্য পরিচালকদের বেতনের পেছনে ব্যয় হচ্ছে। তাই সরকারের কাছে আলাদা করে আরো ১৫ কোটি টাকা শুধু ঝুঁকি ভাতা হিসেবে চেয়েছে দুদক।

সিলেটে গত ৯ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে আজিজুর রহমান নামে এক সরকারি কর্মচারীকে ১০ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় হাতেনাতে গ্রেফতার করেন দুদক কর্মকর্তারা। অভিযানের সময় দুদকের তিন কর্মকর্তার ওপর হামলা চালানো হয়।

সেই কর্মকর্তাদের জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে তিন ঘণ্টা আটকে রাখেন সেখানকার কর্মচারীরা। একপর্যায়ে অবরুদ্ধ দুদক কর্মকর্তাদের উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় দুর্নীতিবাজ সেই কর্মচারীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। একই কারণে জেলা প্রশাসক জয়নুল আবেদিনকে অন্যত্র বদলি করা হয়।

২০১৬ সালের মার্চে দুদক চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান ইকবাল মাহমুদ। তার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এখন পর্যন্ত সারা দেশ থেকে অন্তত ৪৩০ জন সরকারি কর্মচারীকে গ্রেফতার করা হয়।

সোনালীনিউজ/জেডআরসি/এমটিআই

Link copied!