আতিয়া মহলে নিহত নারীই মর্জিনা!

  • সিলেট প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ২৮, ২০১৭, ০৮:৫৯ এএম
আতিয়া মহলে নিহত নারীই মর্জিনা!

সিলেট: নগরীর দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ীর আতিয়া মহলে অভিযানে নিহত হয়েছেন সন্দেহভাজন চার জঙ্গি। এদের মধ্যে এক নারী ও এক পুরুষের লাশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে সেনাবাহিনী। তাদের একজন সেই মর্জিনা বেগম বলে ধারণা করছে পুলিশ।

দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার থানার ওসি খায়রুল ফজল বলেছেন, আমরা এখনো নিশ্চিত নয় তবে ধারণা করছি মর্জিনার বেগমের লাশ হতে পারে। তবে অন্য পুরুষের লাশটি কার সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না।

গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে পুলিশ ঘিরে ফেলার পর শনিবার শিববাড়ি এলাকার পাঁচ তলা ওই বাড়িতে অভিযান চালায় সেনাবাহিনীর কমান্ডো দল।

সোমবার সন্ধ্যায় সামরিক গোয়েন্দা পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ফখরুল আহসান ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের জানান, ভেতরে চার জঙ্গির লাশ পেয়েছেন তারা, এর মধ্যে দুটি লাশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক নারী ও এক পুরুষের লাশ পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ওই বাড়ির নিচ তলায় পাওয়া লাশগুলোর শরীরও বিকৃত বলে পুলিশ কর্মকর্তারা জানান। সেনা কর্মকর্তা ফখরুল আগেই বলেছিলেন, গুলি করার পর এক জঙ্গি তার দেহে বাঁধা বিস্ফোরক ফাটিয়ে দিয়েছিলেন।

বাড়িওয়ালা উস্তার আলীর তথ্যানুযায়ী, জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি রেখেই তিনি তিন মাস আগে মর্জিনা ও কাউছারকে ওই বাসা ভাড়া দিয়েছিলেন।

অভিযান শুরুর পর শুক্রবার বেলা ১২টার পর নাম উল্লেখ করে পুলিশের হ্যান্ড মাইকে বলা হয়েছিল, ‘মর্জিনা বেগম, আপনাদের চারদিক দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে আত্মসমর্পণ করুন।’

দফায় দফায় এভাবে আহ্বান জানানোর মধ্যে শাহ আলম নামে পুলিশের একজন এসআই সন্দেহভাজন জঙ্গিদের উদ্দেশে মাইকে বলেন, ‘আপনারা মুসলমান, আমরাও মুসলমান। আপনাদের কোনো বক্তব্য থাকলে মিডিয়ার ভাইয়েরা আছেন, আপনারা কথা বলুন।’

‘আপনারা শয়তানের পথে, আমরা আল্লাহর পথে।’ বলে ওই বাড়ি থেকে জানালা ফাঁক করে নারী কণ্ঠের জবাব আসে। এর পরেই পুরুষকণ্ঠে পুলিশের উদ্দেশে বলা হয়, ‘দেরি করছ কেন? আমাদের সময় কম। তাড়াতাড়ি সোয়াট পাঠাও।’

পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পর রাতে সোয়াটও গিয়েছিল সেখানে। পরে অভিযানের দায়িত্ব আসে সেনাবাহিনীর প্যারাকমান্ডো ব্যাটালিয়নের উপর।

প্রথম দিনের অভিযানে ভবনটিতে আটকে পড়া ৭৮ জনকে উদ্ধারের পর দ্বিতীয় দিন দুই জঙ্গির নিহত হওয়ার খবর জানায় সেনাবাহিনী। তৃতীয় দিন সোমবার ভবনটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ভেতরে চারটি লাশ পাওয়ার কথা জানানো হয়।

সোনালীনিউজ ডটকম/ঢাকা/এআই

Link copied!