বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন শুরু

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ৩, ২০১৭, ০৩:৩১ পিএম
বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন শুরু

ঢাকা: বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) এর মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় ভারতের নয়াদিল্লীতে বিএসএফ সম্মেলন কক্ষে এ সম্মেলন শুরু হয়।

বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন, এনডিসি, পিএসসি, পি ইঞ্জ’র নেতৃত্বে ২৪ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন।

বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে অন্যান্যের মধ্যে বিজিবি’র সরাইল, যশোর, রংপুর এবং চট্টগ্রাম রিজিয়ন কমান্ডাররা, বিজিবি সদর দপ্তরের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, যৌথ নদী কমিশন, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ জরিপ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা প্রতিনিধিত্ব করছেন।

অপরদিকে বিএসএফ মহাপরিচালক শ্রী কে কে শর্মা, আইপিএস’র নেতৃত্বে ২৬ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন। ভারতীয় প্রতিনিধিদলে বিএসএফ সদর দপ্তরের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ, ফ্রন্টিয়ার আইজিগণ, ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, জাতীয় তদন্ত সংস্থা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, সার্ভে অব ইন্ডিয়া এবং যৌথ নদী কমিশন এর কর্মকর্তাবৃন্দ প্রতিনিধিত্ব করছেন।

একই সাথে সীমান্ত সম্মেলন উপলক্ষে উভয় দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ক আরও সুসংহত করার লক্ষ্যে বিজিবি পরিচালিত সীমান্ত পরিবার কল্যাণ সমিতি (সীপকস) এর সভানেত্রী রওশন আরা হোসেনের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের প্রতিনিধিদল ভারতে গমন করছেন। সীপকস প্রতিনিধিদল বিএসএফ পরিচালিত বিএসএফ ওয়াইভস ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশন (BWWA) এর প্রতিনিধিদলের সাথে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন এবং এ্যাসোসিয়েশনের বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিদর্শন করবেন।

এবারের সম্মেলনের আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে রয়েছে সীমান্ত এলাকায় নিরস্ত্র বাংলাদেশী নাগরিকদের গুলি/হত্যা/আহত করা, নিরীহ বাংলাদেশী নাগরিকদের গ্রেফতার/আটক করা, সীমান্ত লঙ্ঘন/অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম/বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ, আগ্নেয়াস্ত্র/গোলাবারুদ/বিস্ফোরক দ্রব্য চোরাচালান, বিভিন্ন প্রকারের মাদকদ্রব্য যেমন; ফেনসিডিল, মদ, গাঁজা, ইয়াবা, ভায়াগ্রা/সেনেগ্রা ট্যাবলেট ইত্যাদি চোরাচালান, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতীয় মোবাইল নেটওয়ার্ক কভারেজ, সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক ও নির্মাণ কাজ, উভয় দেশের সীমান্ত নদীসমূহের তীর সংরক্ষণ, পারস্পরিক আস্থা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম এবং বিবিধ বিষয়সমূহ। সম্মেলন শেষে যৌথ আলোচনার দলিল (জয়েন্ট রেকর্ড অব ডিসকাশন্স-জেআরডি) স্বাক্ষরিত হবে।

সীমান্ত সম্মেলন উপলক্ষে পারস্পরিক সুসম্পর্ক জোরদার ও সৌহার্দ বৃদ্ধির অংশ হিসেবে প্রতিনিধিদল ভারতের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করবেন এবং আগামী ৭ অক্টোবর প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে কলকাতা ত্যাগ করবেন।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Link copied!