ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে শেহরিন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ১৫, ২০১৮, ০৭:০২ পিএম
ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে শেহরিন

ঢাকা: নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে বিমান দুর্ঘটনায় আহত শেহরিন আহমেদকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দেশে আনা হয়েছে। বিমান বন্দরে নামার পরই তাকে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট।

সেখনের আইসিইউ’র (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) ৫ নম্বর বেডে তার চিকিৎসা চলছে। শেহরিনের পা ভেঙেছে এবং ৮ থেকে ১০ শতাংশ বার্ন হয়েছে। তাই বিশেষজ্ঞ প্লাস্টিক ও অর্থোপেডিক সার্জন দিয়ে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। প্রয়োজনে শেহরিনের জন্য চিকিৎসকদের নিয়ে মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হবে’ বলেও জানান বার্ন ইউনিটের প্রধান সমন্বয়ক।

শেহরিন আহমেদকে বহনকারী বিজি-০০৭২ ফ্লাইটটি বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে বিমানবন্দরে পৌঁছায়। ৪টা ১৭ মিনিটে বিমানবন্দর থেকে দ্রুত তাকে ঢামেকের পাঠানো অ্যাম্বুলেন্সে হাসপাতালে নেয়া হয়। বিকেল ৫টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সটি হাসপাতালে পৌঁছালে দ্রুত তাকে বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে নেয়া হয়।

শেহরিনকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার উদ্দেশে এর আগে ঢামেক থেকে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও দুজন নার্স বিমানবন্দরে অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে পৌঁছান। তারা হলেন- বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শংকর পাল এবং আইসিইউ’র নার্স ফারজানা আক্তার ও মরিয়ম আক্তার।

প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিএস-২১১ নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। ৬৭ যাত্রী ও চার ক্রুসহ দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বিমানটি বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৫১ যাত্রীর প্রাণহানি ঘটে। বাকিদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতলে ভর্তি করা হয়েছে।

বিমানটিতে মোট ৬৭ যাত্রীর মধ্যে বাংলাদেশি ৩২, নেপালি ৩৩ জন, একজন মালদ্বীপের এবং একজন চীনের নাগরিক ছিলেন। তাদের মধ্যে পুরুষ যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৩৭, মহিলা ২৮ ও দু’জন শিশু ছিল।

সোনালীনিউজ/আতা

Link copied!