৮৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ

১১ জনের বিরুদ্ধে দুদকে চার্জশিট অনুমোদন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মে ২৫, ২০১৮, ০৫:১২ পিএম
১১ জনের বিরুদ্ধে দুদকে চার্জশিট অনুমোদন

ঢাকা : ৮৮ কোটি টাকার বেশি আত্মসাৎ মামলায় পূবালী ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট অনুমোদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (২৪ মে) কমিশন এ অনুমোদন দেয়। মামলাটি চার্জশিট আকারে শিগগিরই আদালতে দাখিল করা হবে বলে জানা গেছে।

দুদক সূত্র জানায়, আমদানি রফতানি ব্যবসার নামে এলসি ছাড়াই পিএডি সৃষ্টি এবং পিএডি অ্যাকাউন্ট ডেবিটকরণ এবং এলসি মার্জিনে ভুয়া প্রত্যয়নপত্র ইস্যুর মাধ্যমে ৮৮ কোটি ৮৫ লাখ ৯ হাজার ৭৩২ টাকা হাতিয়ে নেয় আসামিরা। মামলার তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে পূবালী ব্যাংক লি. মাধবদী শাখার ব্যাংক ম্যানেজারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় কোনোরূপ আবেদনপত্র, জামানত, চার্জ ডকুমেন্ট ছাড়াই ৫৫টি ভুয়া ও নগদায়নকৃত মূল্যহীন এফডিআর ইস্যু করে লিয়েন দেখান। এটি দিয়ে ওডি লোন সৃষ্টি, এক গ্রাহকের অর্থ অন্য গ্রাহকের নরসিংদী পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ ও ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির অর্থ স্থানান্তর করেন। মামলার ‘অধিকতর তদন্ত’র পরিপ্রেক্ষিতে এ তথ্য উদ্ঘাটিত হয়।

অনুমোদিত চার্জশিটের আসামিরা হলেন, পূবালী ব্যাংকের সাবেক ম্যানেজার সাজ্জাদুর রহমান খান, এনএইচকে ফেব্রিক্স অ্যান্ড টেক্সটাইলের মালিক মোহাম্মদ সাইকুল মামুন, তার স্ত্রী কাকলি বেগম, প্রো. ইজাজ টেক্সটাইলের মালিক মো. নাজমুল মোমেন, প্রো. মেসার্স ইরফান টেক্সটাইলের মালিক মো. আতাউর রহমান, রেমিয়েন কমিউনিকেশনের মালিক মওদুদুর রহমান খান, তার স্ত্রী মেসার্স ইনোভিক’র মালিক  ফারহানা নুসরাত খান, প্রো. রেমিয়েন ডিস্ট্রিবিউশন লি’র মালিক মো. বাহাউদ্দিন সাদী, অ্যাকাউন্ট হোল্ডার মো. মোরসালিন রহমান, মোহাম্মদ আলমগীর আহমেদ এবং মোহাম্মদ শফিউল আলম।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১১ নভেম্বর পূবালী ব্যাংকের মাধবদী শাখার ম্যানেজার এসএম রাকিব মিয়া নরসিংদীর মডেল থানায় মামলা করেন। মামলাটিতে সরকারি স্বার্থ থাকায় তদন্ত করেন দুদকের উপপরিচালক এসএম মফিদুল ইসলাম।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Link copied!