আসুন সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ গড়ি : প্রধানমন্ত্র

  • সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ২৬, ২০১৬, ০৩:৪২ পিএম
আসুন সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ গড়ি : প্রধানমন্ত্র

সোনালীনিউজ ডেস্ক

স্বাধীনতার ৪৫ বছর পূর্তিতে বাংলাদেশকে বিশ্বে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করতে ঐক্যবদ্ধভাবে সব নাগরিককে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে জাতীয় শিশু-কিশোর সমাবেশে তিনি সবার উদ্দেশে বলেন, চলুন সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশটাকে গড়ে তুলি। বিশ্বে কেউ যেন বাংলাদেশকে অবহেলা করতে না পারে, সেভাবে দেশকে গড়ে তুলব।

সকালে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দেওয়ার পর ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানিয়ে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শিশু-কিশোর সমাবেশে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমরা এই দেশকে গড়ে তুলব। স্বাধীনতার ৪৫ বছর আজ। আমরা আর পিছিয়ে থাকব না। আমরা এগিয়ে যাব।

বাংলাদেশের অগ্রগতির এই যাত্রাকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে শিশু-কিশোরদের দেশপ্রেমিক ও যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার উপরও জোর দেন সরকার প্রধান। আমরা ২০৪১ সালে উন্নত দেশ হবো। তাই আজকে যারা শিশু তোমরাও তোমাদের সেভাবে গড়ে তুলবে। আগামী দিনে তোমরাই তো এদেশের কর্ণধার হবে। তোমরাই তো এদেশ পরিচালনা করবে।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের অবস্থান সুদৃঢ় করতে নিজের আত্মবিশ্বাসী পথচলা ভবিষ্যৎ প্রজন্মেও সঞ্চারিত দেখতে চান শেখ হাসিনা। ছোট্ট সোনামণিরা তোমাদের মনে রাখতে হবে যে, আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে বিজয় অর্জন করেছি, আমরা বিজয়ী জাতি। কোনো দিক থেকে আমরা পিছিয়ে থাকব না, আমরা এগিয়ে যাব। বিশ্বে যেন আমাদের আবস্থান আরও সুদৃঢ় হয়, আত্মমর্যাদাশীল হয়, সেভাবে আমরা আমাদের দেশকে গড়ব।

নিজেদের মধ্যে থেকে ভবিষ্যত নেতৃত্ব গড়ে তুলতে এখন থেকে প্রস্তুতি নেওয়ার তাগিদ দিয়ে স্কুলের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তোমরাই তো আমাদের মতো মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী হবে। তোমরাই তো দেশ চালাবে। কাজেই তোমাদের সেভাবে নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। অভিভাবকের কথা শুনতে হবে, খেলাধুলা-সাংস্কৃতিক চর্চা থেকে শুরু করে সবকিছুতে মনোনিবেশ করতে হবে।

শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন, প্রতিটি ছেলেমেয়ে এখন স্কুলে যেতে পারে। বিনা পয়সায় বই দেওয়া হচ্ছে, উচ্চশিক্ষায়ও বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। জাতির জনকের কন্যা বক্তব্যের শুরুতেই পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে পূর্ব বাংলার মানুষের উপর অত্যাচার-নির্যাতন এবং বঞ্চনার ইতিহাস তুলে ধরেন।

এই ভূখণ্ডে আমরা বাঙালি জাতি আমরা সব সময় শোষণ বঞ্চনার শিকার হতাম। আমাদের দেশে ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করতে পারত না। স্কুল ছিল না। কলেজ ছিল না। উচ্চ শিক্ষা নিতে পারত না। রোগে চিকিৎসা পেত না। দু’বেলা পেট ভরে খেতে পারত না।

এই দুর্দশার মধ্যে দিয়ে দেশের মানুষ জীবনযাপন করত। কষ্টের মধ্যে দিয়ে জীবন চালাত। আর, যারা শাসক গোষ্ঠি ছিল, এদেরকে শোষণ করত। আমাদের অর্থ সম্পদ লুট করে নেওয়া হত। বাঙালির অধিকার আদায়ে বঙ্গবন্ধুর অবদান তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, এই অবস্থার প্রতিবাদ করেছিলেন, আমাদের মহান নেতা জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান।

২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তার নামে মুক্তিযুদ্ধের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ইতিহাসও শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরেন তিনি। অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী শিশু-কিশোর সমাবেশ পরিদর্শন করেন। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কুচকাওয়াজে অভিবাদন গ্রহণ করেন তিনি। পরে তিনি শিশু-কিশোরদের ডিসপ্লেও দেখেন।

অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক উপস্থিত ছিলেন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Link copied!